
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১৯টি পশুর হাট বসেছে। এরমধ্যে ঐতিহ্যবাহী ছেংগারচর বাজার পশুর হাট সাড়া ফেলেছে সর্বাধিক।
উপজেলার এসব হাটে দেশি জাতের গরু, ছাগলসহ নানা প্রজাতির পশু কেনাবেচা হচ্ছে। সোমবার (২ জুন) দুপুর ১২টা থেকেই ছেংগারচর বাজার পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। বড় আকৃতির গরু এবং স্বাস্থ্যবান পশু ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।
জনপ্রিয় হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে ছেংগারচর বাজার গে-হাট, কালীরবাজার, আমতলা গরুর বাজার, কালিপুর বাজার, বেলতলী বাজারসহ আরও অনেক অস্থায়ী হাট। হাটগুলোতে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে।
ছেংগারচর বাজার হাটের ইজারাদারদের পক্ষে বিল্লাল ফরাজি বলেন, “এ হাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু আসে। আমরা নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করছি। দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।”
বিক্রেতারা জানান, এবার গরুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি সন্তোষজনক। সবচেয়ে বেশি গরু কেনাবেচা হচ্ছে এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকার মধ্যে।
ষাটনল এলাকার ক্রেতা মো. সুলতান বলেন, “প্রতিবারই ছেংগারচর হাট থেকেই কোরবানির গরু কিনি। এবার গরুগুলোর স্বাস্থ্য ভালো, দামও তুলনামূলকভাবে ঠিক আছে।”
আরেক ক্রেতা আবদুল করিম জানান, “আমি ছেংগারচর হাটে কোরবানির গরু কিনতে এসেছি। পশুগুলো ভালো, দামও অন্য জায়গার তুলনায় একটু কম।”
মতলব উত্তর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, “প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি টিম কাজ করছে। পশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান এবং সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।”
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, “প্রতিটি হাট মনিটরিং করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জাল টাকা লেনদেন, পশু চুরি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, “প্রত্যেকটি হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, আনসারসহ প্রয়োজনীয় ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মিমিয়া