
ছবিঃ জনকণ্ঠ
ফরিদপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর, ফরিদপুর কর্তৃক আয়োজিত র্যালি,আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার সকাল দশটায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জীব কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে একটি র্যালি ফরিদপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এরপর জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আজম, জেলা ট্রেনিং অফিসার ডাঃ একেএম আসজাদ, কৃষিবিদ রাকিবুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সব্যসাচী মজুমদার, ডেইরি খামার অ্যাসোসিয়েশন ফরিদপুরের শহিদুল ইসলাম,খামারী কামরুল হাসান। এ সময় অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন " বিশ্ব দুগ্ধ দিবস জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস।
২০০১ সাল থেকে প্রতিবছরের এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে দুধ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধিতে,দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি সাধন ও মস্তিষ্কের বিকাশে দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। জিডিপিতে প্রাণিসম্পদ দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দুধ উৎপাদনের সাথে যে খামারীরা জড়িত তারা অনেক সময় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। গবাদি পশু প্রতিপালন করতে গেলে যে গোচারনের দরকার তা আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। খাস জমিগুলোকে গবাদি পশু প্রতিপালনে ব্যবহার করে প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে।
আমাদের দেশের জিডিপিতে প্রায় ১৬.৫২% প্রাণী সম্পদ অবদান রেখে যাচ্ছে। আমাদের দেশের চাহিদা পূরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে প্রাণিসম্পদ দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ফরিদপুরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে অনেক খাস জমি পড়ে আছে। নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের খাস জমিগুলোকে গোচারনের জন্য ব্যবহার করার আহ্বান জানাই। সেখানে ৫০ থেকে ১ লক্ষ গরু প্রতিপালন করা সম্ভব। খামার ব্যবস্থাপনায় দেশী গরু প্রতিপালন করতে হবে। খাদ্যের সাথে যাতে ইউরিয়া এবং ভেজাল না মিশানো হয় বিষয়ে সেজন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে।
সাব্বির