ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু

মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ১৪:১৪, ১ জুন ২০২৫

ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু

পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

রবিবার (১ জুন) থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। মূলত রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা জোরদার, বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে তল্লাশি এবং পশুর হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারির লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শহরের বাসস্ট্যান্ড ও চৌরাস্তা এলাকায় এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। এ সময় মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঠাকুরগাঁও জেলার মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে পারে এবং বাইরে থেকে আগত ব্যক্তিরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে—এই লক্ষ্যেই এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান ও পশুর হাটে মনিটরিং

শুধু চৌরাস্তা নয়, জেলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও অভিযান পরিচালিত হবে। ঈদকে কেন্দ্র করে জমে ওঠা পশুর হাটগুলোতেও সেনাবাহিনীর বিশেষ তল্লাশি অভিযান ও মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। উদ্দেশ্য, ক্রেতা-বিক্রেতা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করতে পারেন। সেনাবাহিনীর প্রো-অ্যাকটিভ টিম সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে, যা জেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও মজবুত করবে।

সেনাবাহিনীর এই বিশেষ তল্লাশি অভিযানে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। আরিফ হাসান নামে একজন বলেন, “এই তল্লাশি অভিযান অবশ্যই প্রশংসনীয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য এটি চালু থাকলে আমরা নিশ্চিন্তে ঈদ উদযাপন করতে পারব।”

ঢাকা থেকে ঈদ করতে আসা আফজাল হোসেন বলেন, “পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে ঈদে এসেছি। সেনাবাহিনীর অভিযান দেখে ভালো লেগেছে। এই তৎপরতা থাকলে ঈদে নিরাপদে থাকতে পারব, এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক থাকবে।”

ঠাকুরগাঁও আর্মি ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বক্কর বলেন, “ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা তল্লাশি ও অভিযান চালাচ্ছি। আজ থেকে শুরু হয়ে ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে। আমরা রাস্তায় যানবাহনে তল্লাশি ও বাজার মনিটরিং করছি যাতে সাধারণ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে পারে।”

সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপে ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধের সৃষ্টি হয়েছে। 

সানজানা

×