ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুতি: বৈষম্যের অভিযোগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার,  কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ৩১ মে ২০২৫

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুতি: বৈষম্যের অভিযোগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

দৈনিক জনকণ্ঠ

উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় ১২৫০ জন শিক্ষককে হঠাৎ একযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হলেও বহাল রয়েছেন রোহিঙ্গা শিক্ষকরা।

চাকরিচ্যুতের প্রতিবাদে শনিবার (৩১ মে) বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অন্যথায় রবিবার থেকে উখিয়া থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ পরিচালনাকারী

কোনও এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভকারী শিক্ষকরা জানান, ব্র্যাক, কোডেক, ফ্রেন্ডশিপ, মুক্তি, কোস্ট ফাউন্ডেশন ও জেসিএফসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য পরিচালিত স্কুলগুলোতে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা উভয় সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল।

তবে হঠাৎ করে ‘অর্থ সংকটের’ কারণ দেখিয়ে শুধু স্থানীয় ১২৫০ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়। যেখানে রোহিঙ্গা শিক্ষকরা বহাল থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, আরও প্রায় ৩ হাজার শিক্ষককে ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা শিক্ষকরা যদি কাজ করতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না? অথচ শুধু আমাদেরই চাকরিচ্যুত করা হলো। এ বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না।

উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরি বলেন, তহবিল সংকট থাকলে স্থানীয়দের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম চালানো যৌক্তিক নয়। বরং শিক্ষা প্রকল্পই বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরি বলেন, ইউনিসেফের অর্থায়নে দীর্ঘদিন ধারে বিভিন্ন এনজিও ক্যাম্পে শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে শিক্ষা প্রকল্পটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে

। এ বিষয়টি তিনি চিঠি যোগে সরকারকে অবহিত করেছেন। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্প চালানোর অর্থ তাদের রয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে কিছুসংখ্যক শিক্ষক চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে যারা আন্দোলন করছে তারা ইতোমধ্যে তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদেরকে বিষয়টি বিস্তারিত জানানোও হয়েছে।

জানতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, অর্থ সংকটের কারণে শিক্ষা প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।

হ্যাপী

×