
ছবি: জনকন্ঠ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধামাইনগর ইউনিয়নের লবনকোটা-জামতৈল সড়কের অর্জূনি গ্রামের বড়খাড়ি খালের উপরে অবস্থিত সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বেশ পুরোনো সেতুটি বছরের পর বছর ধরে সংস্কারের অভাবে ঝুঁকপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে সেতুটির রেলিং ভেঙ্গে গেছে এবং কয়েকটি স্থানে বড়বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি জেনেও প্রতিনিয়ত এ সেতু দিয়ে চলাচল করছে শতশত যানবাহন । সেই সাথে সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে অসংখ্য পথচারী। দ্রুত সেতুটি সংস্কার না করলে যেকোনও ধরনের বড় দুর্ঘটনার আশংঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে ধামাইনগর ইউনিয়নের লবনকোটা-জামতৈল সড়কের অর্জূনি গ্রামের বড়খাড়ি খালের উপর স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সেতুটি নির্মান করে। বর্তমানে সেতুটির ঢালাই উঠে গিয়ে বড় ফাটল আকার ধারণ করেছে। সেতুর মাঝখানে ভেঙ্গে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। মাঝখানে বড়গর্ত হওয়ায় কোন রকমে চলছে যান চলাচল। ইতিমধ্যে সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙ্গে পড়েছে। নীচের পিলারে দেখা দিয়েছে ফাটল।
স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি ধানের ব্যবসা করি। সেতুটি নষ্ট হওয়ায় ভ্যানে ধান বোঝাই করে লবনকোটা গ্রামে নেই। এরপরে ট্রাকে বোঝাই দিয়ে বাজারে নিতে হয়। এতে করে আমার পরিশ্রম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। ভবানিপুর গ্রামের আব্দুল হালিম বলেন,আমার শ্বশুর বাড়ি অর্জুনি গ্রামে। সেখানে যাওয়ার সময় সেতু ভেঙে যাওয়ার ভয়ে ১০কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে শ্বশুর বাড়ি যাই।
এদিকে গুরুত্বর্পূর্ণ সেতুটির উপর দিয়ে উপজলোর জামতৈল, সারোইল. দামুয়া,উত্তর শ্যামপুর,সাদরা,ভবানিপুর,লবনকোটা, শালিয়াগাড়ি,ধামাইনগরসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। অন্যদিকে এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার টন ধান, শাক সবজি যানবাহনে করে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধামাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রাইসুল হাসান সুমন বলেন,সেতুটির মাঝখানে ভেঙে পড়ায় পরিষদ থেকে ষ্টিলের পাত দিয়ে আপাতত ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তবে এটা বেশিদিন টেকসই হবেনা। উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর বিষয়ে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সেতুর যাবতীয় তথ্যাদি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে। এপর্যন্ত সেতু দিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হবে।
মুমু