
রাজারহাট উপজেলার ২০০ জন অসহায় নারী-পুরুষ পেয়েছেন ৪০০ ছাগল
তিন বছর ধরে পায়ের টিউমারে আক্রান্ত খুশি বেগম এখন আর কাজ করতে পারেন না। কৃষক স্বামীর আয় দিয়ে কোনোভাবে চলে সংসার। এর মধ্যেই মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে, ছোট ছেলে এখনো স্কুলে। এমন দুঃসহ পরিস্থিতিতে যাকাত ফাউন্ডেশন অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে পাওয়া একটি ছাগল যেন আশার নতুন আলো।
খুশি বেগম বলেন, পায়ের প্রতিবন্ধীতা নিয়ে অসহায় জীবন পার করছি। এই ছাগল আমার কর্মের বড়ো অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুধু খুশি বেগম নয়, রাজারহাট উপজেলার ২০০ জন অসহায় নারী-পুরুষ পেয়েছেন এই সহায়তা। প্রতিটি পরিবার পেয়েছে দুটি করে ছাগল।
পাইকপাড়া এলাকার বিধবা রেজিয়া বলেন, দুটি ছাগল পেয়ে খুব ভালো লাগছে। পুষে বড় করবো, বাচ্চা হলে বিক্রি করবো। অসুস্থ হলে ঔষধ কেনার টাকাও পাই না—এই ছাগল ভবিষ্যতের ভরসা হয়ে উঠবে।
ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নাল আবেদিন বলেন, তিস্তার ভাঙনে আমাদের সব কিছু গেছে। এখন এই ছাগল দুটি আমাদের নতুন করে বাঁচার সাহস দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থ সচিব মো. মাহবুবুল হক, ইউএনও আল ইমরান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আসাদুজ্জামানসহ প্রশাসন ও যাকাত ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। প্রান্তিক মানুষের জীবনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এসএফ