পর্যটন স্পটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। ছবি: জনকণ্ঠ
এবার ঈদের দিন থেকেই পর্যটকদের ভিড় জমেছে সিলেটের পর্যটন স্পট গুলোতে। সোমবার পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় কমেনি পর্যটন স্পটগুলোতে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে পর্যটক সমাগম ঘটেছে এবার। সিলেটের উল্লেখযোগ্য স্পট গুলো (জাফলং, বিছনাকান্দি, সাদাপাথর, রাতারগুল) কানায় কানায় ভরা পর্যটকদের আনাগোনায়।
এবারের ঈদের ন্যায় অন্যান্য ঈদে এতো লোক সমাগম ঘটেনি। এবার ঈদের সঙ্গে নববর্ষের আনন্দ পর্যটকদের আনাগোনা বাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় বাজার এবং প্রধান প্রধান সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে অধিক যানজটও।দীর্ঘ একমাস পর্যটনে ভাটা পড়ার পর অবশেষে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পুরো রমজান মাসে পর্যটন স্পটে পর্যটকের বেশ একটা আনাগোনা দেখা যায় নি।
এর আগে, ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রমজান মাস জুড়ে হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্টগুলো নান্দনিক সাজে সজ্জিত করা হয়।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের দিন থেকে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁর পাশাপাশি অধিকাংশ দোকানপাটও খুলেছে।
এদিকে ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটিতে আসা পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন, ভ্রমণ ও নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিতকরণে জাফলংসহ উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
সব কয়টি পর্যটন স্পটের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্বয়ং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসন, সিলেটের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম। থানা ইন্সপেক্টর তদন্ত মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে মহাসড়কে পয়েন্টে পয়েন্টে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে পর্যটকদের আগমন প্রস্থানে সহযোগিতা করছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
এসআর