ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আলোচনায় নৌকা

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আলোচনায় নৌকা

ভোট চাইছেন তানভীর সাকিল জয়

যমুনা নদীর দুর্গম চর,সমতল ভূমি,সড়ক ও অলিগলি, আড্ডায়-চায়ের দোকানে সর্বত্রই আলোচনা নৌকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর শাকিল জয়কে সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী করতে হবে।  প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সব শ্রেণির ভোটারের  কাছে  তিনি  আলোচনায় আছেন। হরতাল, অবরোধ, ভোট বর্জন আন্দোলন এ অঞ্চলের মানুষকে স্পর্শ করেনি। তারা শুধু খবরে শুনেছেন, তবে তাদের এলাকায় এর কোনো প্রভাব নেই। তারা উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শান্তিতে বিশ^াসী।
প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর-সদরের একাংশ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনী এলাকায় নিরন্তর ছুুটে চলেছেন।
কাজিপুরের দুর্গম চর নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের যুক্তিগাছা গ্রাম থেকে সমতলের,হাটশিরা, বহুলি, খাগাসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে ও মানুষের সঙ্গে কথা বলে তানভীর শাকিল জয়ের  ভোটব্যা্কং সম্পর্কে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে। তার অপর চার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটের মাঠে এখনো উত্তাপ ছড়াতে পারেননি। নির্বাচনী মাঠে শক্তিশালী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভীর শাকিল জয় নিশ্চিত বিজয়ের মুখ দেখছেন। সিরাজগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকায় নৌকার প্রার্থী ছাড়াও  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম (মশাল মার্কা), জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম (লাঙ্গল মার্কা) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম মনোনীত সবুজ আলী (নোঙ্গর মার্কা) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

 জাসদ প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম জানান- গণতন্ত্রকে সুসংহত করার লক্ষ্যে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভোটের মাঠে ছুটে যাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। তার পরও তিনি নির্বাচনী মাঠে অছেন। শেষ পর্যন্ত থাকবেনও। জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম জানান- তিনি ভোটের মাঠে আাছেন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় যাচ্ছেন ভোটারের কাছে, সাড়াও মিলছে। তার মতে এখনো ভোটের পরিবেশ ভালো। প্রচারে কোনো বাধা নেই।
অন্যদিকে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  খলিলুর রহমান সিরাজী মনে করেন, কাজিপুরের সাধারণ মানুষ বরাবরই শহীদ এম মনসুর আলী ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ নাসিমের পরিবারের কাছে ঋণী। স্বাধীনতার পর শহীদ এম মনসুর আলী এবং মোহাম্মদ নাসিম যমুনা নদীর ভাঙনে পর্যুদস্ত কাজিপুরকে যেভাবে সাজিয়েছেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করে কাজিপুরের মানুষকে ঋণী করেছে। তাই্ নির্বাচন এলেই সেই ঋণ শোধরানোর জন্য এ অঞ্চলের মানুষ উন্মুখ হয়ে থাকে। ভোটে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে আওয়ামী লীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে।

×