
মানিকগঞ্জের ঘিওরে মা ও বোনের সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া হারেজ আলী
অভিমান করে অন্যত্র জীবনযাপন করছিলেন হারেজ আলী (৫৫)। ৩৩ বছর পরে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের সাইংজুরী গ্রামের মৃত চেনু খার ছেলে হারেজ আলী বাড়ি ফিরে এলেন। ৩৩ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া হারেজ আলীকে ফিরে পেয়ে বাড়ির সবাই খুশি। সোমবার চুয়াডাঙ্গার প্রত্যন্ত এক এলাকা থেকে সেই হারেজ বাড়ি ফিরছেন। ৩৩ বছর পর ছেলেকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অশীতিপর মা ছবেলা বেগম। হারেজের পরিবারে মা, এক বোন-বোনজামাই ভাগিনা ছাড়া কেউ নেই।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালে বের হয়েছিলেন বাড়ি থেকে। তার বয়স তখন ২৩ বছর। পথ হারিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানাধীন হোগলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সোনাহার ম-ল ওরফে মতিয়ারের বাড়ি ঠাঁই হয় তার। অবশেষে তার সন্ধান পায় পরিবার। ৩৩ বছর পর হারেজ আপন ঠিকানায় ফেরে গত রবিবার রাতে। তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেন শত শত মানুষ। বর্তমানে তার বয়স ৫৬।
হারেজের ছোট বোন নূরজাহান বেগম জানান, তার ভাই কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন এবং অসুস্থ, কথা কম বলেন। একমাত্র ভাইকে ফিরে পেয়ে সে অনেক আনন্দিত। হারেজের আশ্রয় দেওয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানাধীন হোগলডাঙ্গা গ্রামের মতিয়ার মণ্ডল মুঠোফোনে বলেন, তাকে রাস্তায় পাগল বেশে খুঁজে পেয়ে বাড়ি নিয়ে আসি। আমার পাঁচ সন্তানের সঙ্গে তাকে নিজ সন্তানের মতো এতদিন লালন পালন করেছি। সে তার ঠিকানা বলতে না পারায় এতদিন তার বাড়ির ঠিকানা পাইনি। সম্প্রতি হারেজ তার বাড়ি ঢাকা মানিকগঞ্জ বলতে পারে। সেই থেকে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাড়ির ঠিকানার খোঁজ পাই। তাকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেই। কিন্তু হারেজের জন্য আমার বাড়ি ও প্রতিবেশীরা এখনো মন খারাপ করে কান্না করছে।