ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিহতদের লাশ হস্তান্তর

শিরিন ম্যানশন ঝুঁঁকিপূর্ণ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৫, ৭ মার্চ ২০২৩

শিরিন ম্যানশন ঝুঁঁকিপূর্ণ ঘোষণা

শিরিন ম্যানশনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ‘শিরিন ম্যানশন’ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। রবিবার সকালে বিস্ফোরণে ভবনটির তৃতীয় তলা ধসে পড়ার পর সোমবার জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সাইন বোর্ড লাগিয়েছে ডিএসসিসি। ফলে দ্বিতীয় ও নিচ তলার দোকানিরা সোমবারও দোকান খুলতে পারেননি।

বিস্ফোরণের ফলে ভবনটির সামনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়া ইট, কাঁচ, আসবাবপত্র যেভাবে ছিল সেভাবেই রয়েছে। এসবের সঙ্গে নিহত ও আহতদের রক্তের ছোপ ছোপ দাগ রয়ে গেছে। সোমবারও পুলিশ ভবনটি ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বিস্ফোরণে ৩ জন নিহতসহ অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা ঘটলেও দুই দিনেও খোঁজ মেলেনি ভবন কর্তৃপক্ষের। একবারের জন্যও ঘটনাস্থলে আসেনি কর্তৃপক্ষের কেউ। পুলিশও চেষ্টা করে ভবন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।

বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে একেকজন একেক কথা বললেও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানিয়েছে, জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কোনো ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্যের আলামত পায়নি কোনো সংস্থাই। এদিকে এ ঘটনায় নিহত তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে পুলিশ পরিবারের কাছে মরদেহগুলো বুঝিয়ে দেয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করলেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

আর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এবং ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন মোট ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।     
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির উত্তর পাশের অংশে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ’ এমন লেখা দুটি ব্যানার টাঙিয়ে রেখেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ভবনের আশপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। ১৪/১৫ জন পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। বিস্ফোরণে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ইট, চূর্ণ-বিচূর্ণ দেওয়ালের অংশবিশেষ, ভাঙা কাচ, আসবাবপত্র, সাইন বোর্ডের ভাঙা অংশ ব্যারিকেডের মধ্যে রাখা হয়েছে।

এসব মালামালের সঙ্গে বিস্ফোরণে ছিটকে রাস্তায় এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়া নিহত তিনজনের রক্তের ছোপ ছোপ দাগ লেগে আছে। ভবনটির উত্তর পাশ সংলগ্ন গলির এক অংশ বাসিন্দাদের প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দ্বিতীয় ও নিচ তলার দোকানিরা সকালে এসে দোকান খুলতে না পেরে সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছেন। 
এদের একজন মো. তাজ। নিচ তলায় তাসা নামে তার পাঞ্জাবির দোকান রয়েছে। বিস্ফোরণের পর থেকেই দোকান বন্ধ। সোমবার সকালেও দোকান খুলতে পারেননি। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে দোকানের দিক তাকিয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞেস করতেই তাজ বলেন, দু’দিন ধরে দোকান বন্ধ, বেচাকেনা নেই। জানি না এভাবে আর কতদিন বন্ধ রাখতে হবে। এমনিতেই ব্যবসায়িক লসে আছি। 
বন্ধ রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দক্ষিণ পাশের কাদের আর্কেড ভবনটিও। ভবনটির নিচ তলায় অনেকগুলো দোকান রয়েছে। উপরের তলাগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অফিস। বিস্ফোরণে এই ভবনটিরও উত্তর অংশের দেওয়াল ভেতর দিয়ে ভেঙে গেছে। কাদের আর্কেড ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবন লাগোয়া হওয়ায় সেটিরও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকান খুলতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই সকালে এসেও দোকান খুলতে পারেননি ব্যবসায়ী এসএম ফরিদ। ফরিদ সকাল থেকে নিচ তলায় চেয়ার পেতে অপেক্ষা করছেন, যদি এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়, দোকান খোলার অনুমতি মিলে। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর গড়ালেও দোকান খোলার অনুমতি  মেলেনি। 
ব্যারিকেড দেওয়া অংশে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ পড়েছে। সেটিও সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। দারোয়ান আব্দুল হাকিম দরজা খুলে বুথের ভেতরে বসে আছেন। উঁকি দিতেই বলে উঠলেন, ভাই বুথ বন্ধ। পরিচয় দেওয়ার পর হাকিম জানান, রবিবার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ। তাই এসিও বন্ধ রয়েছে। ভেতরে গরমে টেকা যায় না। তাই দরজা খুলে বসে আছি। 
রবিবারের বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির পূর্ব পাশের আবাসিক ভবন ‘সুরাইয়া’স ড্রিম’ ভবনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটির অনেকগুলো জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তৃতীয় তলা বরাবার সুরাইয়া’স ড্রিমের তৃতীয় তলার দেওয়াল ভেঙে গেছে। এতে ওই ভবনের দুজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মাহবুবুল নবী (৬০) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 
জানতে চাইলে সুরাইয়া’স ড্রিমের তৃতীয় তলার বাসিন্দা এবং আহত মাহবুবুল নবী’র ছেলে শাহরিয়ার জানান, তার বাবা চেয়ারে বসে ছিলেন। বিকট শব্দে শিরিন ভবন বিস্ফোরণে তাদের দেওয়াল ভেঙে তার বাবার গায়ের ওপর পড়ে। এতে তার ডান হাতের চামড়া ছিলে গেছে, পাও ভেঙে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে। 
ভবনটির ১৩ তলায় থাকেন ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম লিটন। তিনি জানান, ১৬ তলা সুরাইয়া ভবনের অধিকাংশের ফ্ল্যাটে এখন গ্যাস নেই। কারণ শিরিন ভবনের বিস্ফোরণে দেওয়াল ধসে যেখানে পড়েছে, সেখানেই সুরাইয়া ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের গ্যাসের রাইজারগুলো ছিল। তাতে অনেক রাইজার ভেঙে গেছে।  
এত বড় একটি বিস্ফোরণ, বিস্ফোরণে তিনজন নিহতসহ অর্ধশতাধিক আহতের খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় এমপি, ডিএমপি কমিশনারসহ অনেকেই ছুটে আসেন। কিন্তু বিস্ফোরণের দু’দিনেও খোঁজ মেলেনি ভবনটির মালিকের। সোমবারও ভবন কর্তৃপক্ষের কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি। পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরাও ভবন কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখতে পাননি। 
নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল জানান, ভবনটির মালিক শিরিন পল্টনে থাকেন। আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। তবে কাউকে পাইনি। তারাও কেউ থানায় এমনকি ঘটনাস্থলে আসেনি। 
জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ॥ তবে বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে একেকজন একেক কথা বললেও ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বলছে, ওখানে জমে থাকা গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। 
সোমবার ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, এখন পর্যন্ত নাশকতার আলামত মেলেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, সম্ভবত দীর্ঘদিন জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা।

ডিজি আরও বলেন, দুর্ঘটনা নাকি অন্য কারণে সায়েন্স ল্যাবের ঘটনা তা জানতে আমি নিজে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তারা একটি টিম পাঠিয়েছিলেন। তারা সেখানে কাজ করেছেন। তাদের বোম ডিসপোজাল টিম জানিয়েছে, সেখানে নাশকতা বা  বিস্ফোরকজাতীয় কিছু থেকে বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি। 
এর আগে রবিবার একই কথা জানিয়েছে সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিট। সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রধান এডিসি রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, গ্যাস জমে থাকার কারণে সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। তাদের টিম সেখানে গিয়ে গ্যাসের উপস্থিতিও পেয়েছে। এ ছাড়া কোনো ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্যের আলামত পাওয়া যায়নি। একই কথা বলেছে সেনাবাহিনার বিশেষজ্ঞ দলও। 
ব্যবসায়ীদের অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি ॥ এদিকে বিস্ফোরণে রবিবার আশপাশের মার্কেটও বন্ধ ছিল। সোমবারও কাদের আর্কেডসহ অনেক দোকান বন্ধ ছিল। তাই বিস্ফোরণে মার্কেট বন্ধ থাকায় ওখানকার ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা। 
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের উত্তর পাশে প্রিয়াঙ্গন শপিং মল। ওই মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী রেশমা ফ্যাশন টেইলার্সের মালিক মো. রেজাউল হক বলেন, রবিবার বিস্ফোরণের কারণে সারাদিন দোকান বন্ধ ছিল, বেচাকেনা মোটেও হয়নি। আজও (সোমবার) রাস্তা বন্ধ আছে। গাড়ি পার্কিং করা যাচ্ছে না ফলে আজও বেচাকেনা হবে না। দুই দিনে আমাদের প্রায় ৬০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। 
শিরিন ম্যানশন সংলগ্ন খান প্লাজায় বেশ কয়েকটি কাপড়ের দোকান। কথা হয় এপি ফ্যাশনের চঞ্চল মল্লিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা খুচরা ও পাইকারি উভয় ব্যবসা করে থাকি। রবিবার কোনো ধরনের বেচাকেনা করতে পারিনি। আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি নুরনবী বলেন, বিস্ফোরণে আমাদেরও ক্ষতি হয়েছে কয়েকটি দোকানের। আমাদের ২১০টির মতো খুচরা ও পাইকারি দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকান মিলে বলা যায় অর্ধকোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 
তবে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ একটি জিডি করে তদন্ত করছে। শুধু জিডি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনা কী কারণে তা তদন্তে বের হয়ে এলে পর সে অনুযায়ী মামলার ধারা হবে। আগে তো ধারা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে নিহতের পরিবার মামলা করলে, সেটা নিয়ে আমরা তদন্ত করব। 
আহতদের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন ॥ এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ছয়জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আর চারজন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন মোট ১০ জনের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বার্ন ও মেডিক্যালের চিকিৎসকরা। 
বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে মোট পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে ধানম-ি পপুলার হাসপাতাল থেকে আরও একজনকে বার্নে নিয় আসা হয়। তার নাম স্বপ্না রানী সাহা (৩৯)। তার শরীরের ১৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে ৬ জন ভর্তি রয়েছে। আশরাফুজ্জামান ও হাফিজুর রহমানের শরীরে ৬ এবং ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকি আশা, জহুর আলী ও আকবরের শরীরে ৩৮, ৪৪ ও ৩৭ শতাংশ দগ্ধ। তবে আমরা কাউকে  শঙ্কামুক্ত বলতে পারছি না। 
ময়নাতদন্তের পর ৩ লাশ হস্তান্তর ॥ বিস্ফোরণে নিহত নিউ জেনারেশন কোম্পানির তিন কর্মীর ময়নাতদন্ত সম্পন্নের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে প্রভাষক ডা. ফাহমিদা নার্গিস মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন। 
নিহতরা হলেন- নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে সাদিকুর রহমান তুষার (৩১)। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুলদি গ্রামের মৃত গোমেদ শেখের ছেলে শফিকুজ্জামান শফিক (৪৪) ও গাজীপুরের টঙ্গি কোনাপাড়া এলাকার মফিজউদ্দিন খলিফার ছেলে আব্দুল মান্নান (৬৩)।

×