ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সাধুর ঝালমুড়ি

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সাধুর ঝালমুড়ি

সাতছড়িতে ঝালমুড়ি হাতে রবি রায় সাধু।

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এ উদ্যানের প্রবেশপথে একটি ঝালমুড়ির দোকান। সাধুর ঝালমুড়ির দোকান বলে এই দোকানের পরিচয়। চানা বুটের সঙ্গে নানা ধরনেরর মসলা দিয়ে তৈরি হয় এখানের ঝালমুড়ি। 

সঙ্গে তাজা লেবুর মনকাড়া ঘ্রাণের মিশ্রণ। ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকার মধ্যে এ ঝালমুড়ি ক্রয় করে খেয়ে স্বাদ পাওয়া যায়। এজন্য পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে এ ঝালমুড়ি।  

সরেজমিন গেলে দেখা যায়, সাধুর দোকানে লোকজন এসে ঝালমুড়ি ক্রয় করেন। তারা তাজা লেবুর ঘ্রাণ মেশানো ঝালমুড়ি খেয়ে তৃপ্তি পান। এ সময় তাদের অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, মাঝে মধ্যে এখানে আসা হয়। উদ্যানে ঘুরফেরা হয়। সাধুর ঝালমুড়ি খুবই মজাদার। পরিবেশনও বেশ পরিচ্ছন্ন। আমরা ঝালমুড়ি খেয়ে স্বাদ পেয়েছি। আবার এলে খেয়ে যাব। ভ্রমণ হয়েছে আনন্দদায়ক। 

আলাপকালে ঝালমুড়ির দোকানি রবি রায় সাধু (৫৬) জানান, এক সময় চা-বাগানের সাপ্তাহিক বাজারগুলোতে ব্যবসা করেছেন। এরপর উদ্যান ঘোষণা হওয়ায় এখানে ঝালমুড়ি বিক্রি শুরু করেন। ২০০৮ সাল থেকে উদ্যানের প্রবেশপথের অদূরে স্থায়ীভাবে বসে ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন। 

দৈনিক কমপক্ষে ২ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। এ দোকানের আয় দিয়েই তার সংসার চলছে। ঝালমুড়ির সঙ্গে বড়ই আচার, পেঁয়াজুও বিক্রি করছেন।

১৯১২ সালে জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার একর দুর্গম পাহাড়ি জমি নিয়ে রঘুনন্দন হিলস্ রিজার্ভ গঠিত হয়। এরপর প্রায় ৩৭৫০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠা পায় সাতছড়ি রেঞ্জ। সাতছড়ি ও তেলমাছড়া বিট নিয়ে এ রেঞ্জ পরিচালিত হয়ে আসছিল।

এরইমধ্যে ২০০৫ সালে ৬০০ একর জমিতে জাতীয় উদ্যান করা হয়। এ উদ্যানের ভেতরে প্রায় ২৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (আদিবাসী) পরিবার বসবাস করে আসছে। উদ্যান হওয়ার পর থেকে এখানে পর্যটকদের পদচারণা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে। দিন দিন বাড়ছে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও। উদ্যানে টিকেট কাউন্টারের কাছাকাছি কয়েকটি দোকান ছাড়াও সাধুর ঝালমুড়ির দোকানটি বেড়াতে আসা অনেকের কাছেই আকর্ষণের।

উদ্যানের হেডম্যান চিত্তরঞ্জন দেববর্মা বলেন, সাধুর ঝালমুড়ি খেয়ে পর্যটকরা তৃপ্তি পাচ্ছেন। তার মুড়ি আমিও খেয়েছি। সে পরিছন্নভাবে ঝালমুড়ি পরিবেশন করে। 

এসআর

×