ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশাল-১

আওয়ামী লীগে একক প্রার্থী বিএনপিতে কোন্দল

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

আওয়ামী লীগে একক প্রার্থী বিএনপিতে কোন্দল

দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার প্রবেশদ্বার বরিশালের গৌরনদী উপজেলা

দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার প্রবেশদ্বার বরিশালের গৌরনদী উপজেলা। যার পাশেই অবস্থান আগৈলঝাড়া উপজেলার। একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের এ দুই উপজেলাকে নিয়ে বরিশাল-১ আসন গঠিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসনটিতে জমে উঠেছে ভোটের রাজনীতি। বরাবর নৌকার পক্ষের এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তিশালী প্রার্থী হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে, পার্বত্য শান্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক এবং বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

আওয়ামী লীগে একক প্রার্থী হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি। তবে বিএনপি বিভক্তি ঘুচিয়ে উঠতে পারলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোটের লড়াই হতে পারে প্রতিযোগিতামূলক।
প্রায় ৩১৮ বর্গকিলোমিটারের এ আসনে ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত হালনাগাদসহ সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৩০ জন। এ আসনটির সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১৫টি। পর পর দুটি মেয়াদে এ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। গোটা দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অভিভাবক হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধা করেন।

স্থানীয় নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন নেতাকর্মীরা। তাই বরিশাল-১ আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের একক প্রার্থী হিসেবে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর রয়েছে দৃঢ় অবস্থান। এ ছাড়া বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বরিশাল-১ আসনে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের কারণে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় আওয়ামী লীগ এখানে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগে একক প্রার্থী হলেও বিএনপিতে রয়েছে বিভক্তি। যার ফলে বিএনপির একাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তবে বিভক্তি ঘুচিয়ে উঠতে পারলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মিলে এ আসনে ভোটের লড়াইটা হবে প্রতিযোগিতামূলক। বরিশাল-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন-এ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান কেন্দ্রীয় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান।
অপরদিকে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) ঢাকা দক্ষিণ শাখার সদস্য অ্যাডভোকেট সেকেন্দার আলী সেরনিয়াবাত ও কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম রহমান পারভেজ প্রার্থী হতে পারেন। চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হবেন দলের আগৈলঝাড়া জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ রাসেল সরদার মেহেদী হাসান। নির্বাচনী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বরিশাল-১ আসনে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি। বিগত ১১টি সংসদ নির্বাচনে ছয়বার জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুইবার সংসদ সদস্য ছিলেন।
সূত্রমতে, ১৯৭৩ সালে এ আসন (তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-১৩) দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোনজামাতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অন্য যারা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছিলেন অন্যতম। শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর বড় ছেলে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ  প্রথম বরিশাল-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাতসহ অসংখ্য জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। তিনি শুধু বরিশাল-১ আসনই নয়; পুরো দক্ষিণাঞ্চলে তাঁকে ঘিরেই আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালিত হয়। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ আসনে তিনিই আমাদের একক প্রার্থী।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা মেয়াদে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে যেভাবে উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালিত হয়েছে এবং হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষ আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের পক্ষে নৌকা মার্কায় পুনরায় ভোট দেবেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয় এটা সাধারণ মানুষ এখন বুঝে গেছেন। বরিশাল-১ আসন নৌকার, বিপুল ভোটের ব্যবধানে পুনরায় নৌকাই বিজয়ী হবে। 
বিএনপির অসংখ্য ত্যাগী নেতার দাবি, গত ওয়ান ইলেভেনের সময় বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন সংস্কারপন্থি দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে এখানকার বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঠিক তখনই বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নিরলসভাবে কাজ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান। ফলশ্রুতিতে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়ে তিনি (সোবাহান) তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠ বেশ জমিয়ে রেখেছিলেন। সকল বাধা উপেক্ষা করে এখনো তিনি মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। 
এদিকে, সংস্কারপন্থি হিসেবে দল থেকে ছিটকে পড়া জহির উদ্দিন স্বপন মনোনয়ন না পেয়ে ওই নির্বাচনে তাঁর কতিপয় অনুসারী দিয়ে সোবাহানের বিরোধিতা করেন। যে কারণে দলীয় কোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসের কাছে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান পরাজিত হন। এরপর ২০০৯ সালের শেষের দিকে পরাজিত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহানকে আহ্বায়ক করে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির কমিটিসহ পৌর ও আগৈলঝাড়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

এরপরই পদবঞ্চিতরা বিভক্ত হয়ে পড়ে। ওই বিরোধের মধ্যেই আবুল হোসেন মিয়াকে আহ্বায়ক করে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির পাল্টা কমিটি গঠনের পর বিএনপিতে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। যা বরিশাল-১ আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আজ পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা সত্ত্বেও মামলা হামলায় কোণঠাসা দলটিতে নির্বাচনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে। তৃণমূলে কয়েকভাগে বিভক্ত বিএনপির মনোনয়নের জন্য লড়ছেন প্রভাবশালী চারজন নেতা। তাঁরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও সংস্কারপন্থি হিসেবে ওয়ান ইলেভেনের সময় দলের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানো সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল-১ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নের চিঠি পেয়েছিলেন সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান। শেষ পর্যন্ত জহির উদ্দিন স্বপন চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দলের বর্তমান মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন নির্বাচনের সময় গৌরনদীর সরিকলস্থ নিজ বাড়িতে একটি সংবাদ সম্মেলন ও কতিপয় অনুসারী নিয়ে নিজ এলাকায় কয়েকটি গণসংযোগ করেই নির্বাচন পার করেছেন।

এরপর ভোটে পরাজিত হয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করলেও গত চার বছর ধরে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন না। কারণ হিসেবে তিনি (স্বপন) সরকার দলের নেতাকর্মীদের বাধাকে দায়ী করলেও বিএনপির বৃহত্তর অংশের নেতাকর্মীরা বলেন, সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে জনগণের প্রতি এটি তার দায়িত্ব হতে পারে না। তিনি (স্বপন) বরিশাল নগরীতে এসে অন্যসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেও নিজ এলাকায় জনগণের কাছে হামলার অজুহাতে আসছেন না। তাহলে দলের নেতাকর্মীরা এলাকায় ঘরবাড়িতে কী করে থাকেন? তবে হামলা ও মামলাকে উপেক্ষা করে নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান।
নির্বাচনী এলাকায় না আসা প্রসঙ্গে একাদশ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, আমাকে নির্বাচনী এলাকায় যেতে দেওয়া হয় না। আমার পারিবারিক ও সামাজিক কাজেও সরকার দলের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে সংঘাতে জড়াতে চাই না, তাই নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছি না। নেতাকর্মীদের প্রতি দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমে এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। নানান কথা বলে একটি পক্ষ দল থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশার প্রতি আস্থা রেখেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছি।

বিগত ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু করে দলের দুর্দিনের কা-ারি হিসেবে নিজেকে ত্যাগী কর্মী হিসেবে দাবি করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের হাইকমান্ডের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান। তিনি বলেন, দলের দুর্দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকাসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে নীতিনির্ধারকরা প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে বিএনপির বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা ও গ্রেপ্তার বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। 
অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। প্রার্থীরা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহার করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেন তাহলে হারানো বরিশাল-১ আসনকে পুনরুদ্ধারে প্রথমেই দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটানো হবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, বরিশাল-১ আসনে অন্য যে কোনো দলের চেয়ে ভোটার ও জনসমর্থনে বিএনপি এগিয়ে। তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির জয় নিশ্চিত। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড় দল হিসেবে একটু মতভেদ থাকতেই পারে। তবে এতে ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। ভোটের আগে সব মতভেদ দূর হয়ে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছেন জাতীয় পার্টি ও চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হবেন দলের আগৈলঝাড়া জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ রাসেল সরদার মেহেদী হাসান। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করলে এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন-জাতীয় পার্টির (এরশাদ) ঢাকা দক্ষিণ শাখার সদস্য অ্যাডভোকেট সেকেন্দার আলী সেরনিয়াবাত ও কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম রহমান পারভেজ।

×