ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা-ধরলায় পাথর  সংগ্রহ করে চলে জীবিকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

তিস্তা-ধরলায় পাথর  সংগ্রহ করে চলে জীবিকা

নদী থেকে জাল দিয়ে ছেঁকে তোলা হচ্ছে পাথর

বিশেষ ধরনের জাল দিয়ে নদীর পানিতে ভেসে আসা নুড়িপাথর তুলে বিক্রি করে চলে প্রায় ১২ হাজার দিনমজুর পরিবারের  সংসার। তিস্তা ও ধরলা নদীতে ভেসে আসা  নুড়িপাথর এদের জীবনে এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য। পাটগ্রামে গড়ে উঠেছে শতকোটি টাকার বালু, নুড়িপাথর ও পাথরের ব্যবসা।  

ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক সম্পদ নুড়িপাথর পাটগ্রামকে গড়ে তুলেছে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ জনপথ হিসেবে। বছরে কয়েকশ’ কোটি টাকার ব্যবসা। 
তিস্তা ও ধরলা নদী  ভারত হতে বাংলাদেশের ভূ খন্ডে প্রবেশ করেছে। এক সময় ধুধু বিরানভূমি ছিল পাটগ্রাম। বালু মাটিতে ফসল হতো না। কষ্টে কেটেছে সাধারণ মানুষের দিন। দেশের একদম শেষ সীমান্তে অবস্থান পাটগ্রামের। এই জনপদেও মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল তিস্তা ও ধরলা নদীতে মাছ ধরা। এখন নদীতে আগের মতো মাছ নেই। বেকার হয়ে পড়ে হাজার হাজার পরিবার। সেই মানুষগুলোর জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে পানিতে ভেসে আসা নুড়িপাথর।

এই নুড়িপাথর ও বালুর ব্যবসাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পাটগ্রামে শত কোটি টাকার ব্যবসা। শেষ পর্যন্ত সেখানে বুড়িমারীতে গড়ে উঠে স্থলবন্দর। এই স্থলবন্দরটিতে পাথরের ব্যবসা প্রাধান্য পেয়েছে। নানা শ্রেণির মানুষ ছোট ছোট ঝাঁকিজাল নিয়ে পানিতে ডুবছে আর ভাসছে। পানিতে ভেসে আসা মাছ যেন, ধরছে। দৃষ্টির খুব কাছেএলে স্পষ্ট হবে।  না, ওরা মাছ নয়, পানির স্রোতে ভেসে আসা নুড়িপাথর ঝাঁকিজালে আটকাচ্ছে। 
পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বাবুল জানান,  নুড়িপাথর, বালু ও আমদানিকৃত বোল্ডার পাথরের ব্যবসা ঘিরে সমৃদ্ধ জনপদ পাটগ্রাম। শুরুটা নুড়িপাথর দিয়ে হয়েছে। দেশে বড় বড় স্থাপনা বা নির্মাণকাজ শুরু হলে ভাগ্য খুলে যায় নুড়িপাথর সংগ্রহকারী  শ্রমিকদের।  নুড়িপাথর, বালু ও পাথরের কয়েকশ’ কোটি টাকার ব্যবসা এখানে প্রতিবছর হয়। এই পাথর কেনাবেচা সকল ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি এনে দিয়েছে। পাথরের ব্যবসা ঘিরে চাঙ্গা সকল মানুষ।
 

×