
অতিথি পাখি
বাউফলের বিভিন্ন এলাকায় শীতের পাখি শিকার করা হচ্ছে। বিশেষ করে তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে অথিতি পাখি শিকার বেশি করা হচ্ছে। শিকারকৃত এসব অতিথি পাখি দিয়ে গ্রামের যুবকরা পিকনিক খাচ্ছে।
অতিথি পাখি শিকার করে তার মাংস দিয়ে পিকনিকের ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের এক যুবক। ১৪ ঘণ্টা আগে দেয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন,
আমরা শীতের দিনে পশু শিকার করে পিকনিক খাইতেছি।'' সেখানে কয়েকটি জীবিত শীতের পাখি( ডাহুক) ও তার মাংসের ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
অনেকেই এ পোষ্ট নিয়ে নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন। কয়েকজন আবার লিখেছেন অথিতি পাখি শিকার করা অপরাধ, তার পরে আবার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে অনেক বড় অপরাধ করা হয়েছে।
এই শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখি আসে আশ্রয় নিতে। সেখানে এসব অথিতি পাখি শিকার করা হচ্ছে নির্বিচারে।
নদীবেষ্টিত বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া এলাকায় অতিথি পাখির আগমন বেশি থাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ। তারা টোপ কিংবা জাল ফেলে পাখি শিকার করে। আবার এসব পাখি আাবার ফেরি করে বিক্রি করে।
বাউফলে সেভ দ্যা বার্ড এর পরিচালক এম এ বশার বলেন, " অতিথি পাখি শিকার, বেচাবিক্রি আইনে নিষিদ্ধ করা হলে তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে এই শীত মৌসুমে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ অতিথি পাখি নিধন রোধে কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেয়ায় মূলত কিছু লোক পাখি শিকারে উৎসাহিত হচ্ছে। তাদের উচিত বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা মাধ্য অতিথি পাখি শিকার অনুৎসাহিত করা।
এ ব্যাপারে বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের মফিজুর রহমান চৌধুরীর বলেন, শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল, হিমালয়ের আশপাশের কিছু অঞ্চলের পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশে চলে আসে।
আবার বসন্তের সময় মানে মার্চ-এপ্রিলের দিকে শীতপ্রধান ওই সব দেশ বরফ গলতে শুরু করে, কিছু কিছু গাছপালা জন্মাতে শুরু করে। তখন অতিথি পাখিরা নিজ দেশে ফিরে যায়।
আমাদের উচিত এসব অতিথি পাখি নিরাপত্তা বিধান করা এবং শিকারিদের অনুৎসাহিত করা।
এসআর