বরিশাল লঞ্চ ঘাট
সারাদেশে একের পর এক সমাবেশ করে যাচ্ছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শনিবার বরিশাল সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি। আর এই সমাবেশকে ঘিরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বরিশালে। চলাচল করছেনা কোনো গণপরিবহন ও লঞ্চ। ফলে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
এদিকে, মহাসড়কে গণপরিবহণ ছাড়াও কোনো ধরণের যানবাহন চলাচল করছে না। রিকশা ও ভ্যান থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সমাবেশকে ঘিরে গণপরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা আগে থেকেই বন্ধের ঘোষণা দেন অভ্যান্তরীণ ও দূর পাল্লার বাস। এছাড়া পূর্বঘোষণা ছাড়াই গতকাল বৃহস্পতিবার ভোলা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল এবং ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে আজ সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ সাত রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী বিলাসবহুল চারটি লঞ্চ। একইভাবে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালগামী লঞ্চ না ছাড়ার নির্দেশনা রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, ভোলায় আওলাদ নামক একটি লঞ্চে বুধবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে শুধু ভোলা রুটে লঞ্চ চলছে না। তবে বরিশালের লঞ্চ মালিক সমিতি লঞ্চ বন্ধের কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা হলেও বিভিন্ন উপায়ে বরিশাল পৌঁছাচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। অনেকে আবার কয়েকদিন আগে থেকেই বিভিন্ন হোলেট, আত্মীয়দের বাসা ও সমাবেশ স্থলে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে সম্প্রতি চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সে সময়ও ওই সব বিভাগীয় শহরের সঙ্গে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
এমএইচ