ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জনকণ্ঠে সংবাদ প্রচারের পরেরদিন অভিযান 

প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় অবৈধ সেই  ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, যশোর 

প্রকাশিত: ১৫:০৪, ৮ আগস্ট ২০২২

প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় অবৈধ সেই  ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ

ম্যাপে কেশবপুর

কেশবপুর সার্জিক্যাল ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় অবৈধ ওই ক্লিনিক বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে এবং অপারেশনের ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের শোকজ করা হয়েছে। যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস রবিবার ক্লিনিক পরিদর্শন করে এ নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকের বৈধতা না থাকায় সেটিও বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার সমরেশ মজুমদার জানান, প্রসূতি সীমা খাতুনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে সিভিল সার্জন অভিযান চালান। এ সময় কেশবপুর সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও মাতৃমঙ্গল ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের কোনো প্রমানপত্র দেখাতে পারেনি। এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক তো দূরের কথা, নিবন্ধিত কোনো সেবিকাও ছিল না। নোংরা প্যাথলজির কক্ষে টেকনোলজিস্ট হিসেবে যারা ছিলেন তাদেরও কোনো একাডেমিক স্বীকৃতি নেই। অথচ তারা দিব্যি রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করছেন। অব্যবস্থাপনার এসব অভিযোগে সিভিল সার্জন ক্লিনিক দু'টি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া নিহত প্রসূতি সীমার অপারেশনের ডাক্তারসহ অপারেশনের সাথে সংশ্লিষ্টদের আগামী বুধবার সিভিল সার্জন অফিসে হাজির হবার জন্য শোকজ করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, ছয় মাস আগে এইসব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু এতোদিনেও তারা কোনো নিয়মের ভেতরে আসেনি। সে কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেসরকারি ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতাল পরিচালনা করতে গেলে বিধি মোতাবেক ৩৬ ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। তিন-চারটি ছাড়া কিছুই নেই এই দুই ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকের। অনুমোদনহীন এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান চলমান থাকবে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো ক্লিনিক চলতে দেয়া হবে না বলে তিনি জানান। 

অভিযানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সমরেশ মজুমদার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।

উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট কেশবপুর সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভুল অপারেশনের কারণে সীমা খাতুন (২৫) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠে রোগি স্বজনদের নিকট থেকে। ওই খবর দৈনিক জনকণ্ঠে প্রচার হবার পরেরদিন রবিবার সিভিল সার্জন এই অভিযান পরিচালনা করেন।


 

টিএস

×