ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ সন্দেহভাজনদের সোয়াব টেস্ট করবে

প্রকাশিত: ০৮:২০, ৩০ মার্চ ২০২০

মুন্সীগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ  সন্দেহভাজনদের সোয়াব  টেস্ট করবে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা দেখার জন্য মুন্সীগঞ্জে সোয়াব টেস্ট করবে স্বাস্থ্য বিভাগ। শরীরে উপসর্গসহ আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহ মিলে গেলে নাক ও গলা থেকে শ্লেষা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে ঢাকার পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাগারে। জেলার সকল হাসপাতালে সোয়াব টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা আছে। জেলার চিকিৎসকরা এই ব্যাপারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। চিকিৎসকরা উপসর্গ দেখে এই সোয়াব টেস্টের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সোমবার এই পরীক্ষা শুরুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসে সন্দেহভাজনদের সোয়াব টেস্টের জন্য অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে আবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়া সন্দেহভাজনদের সোয়াব টেস্টের জন্য পিপিই থাকা বাধ্যতামূলক। এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা প্রয়োজন। যাতে নিরাপদভাবে টেস্ট করা যায়। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাসলিমা জানান, গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনিশিয়ান ছুটে নিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। সে জ্বর, ঠান্ডা, কাশির কারণে সিভিল সার্জন থেকে ছুটে নিয়েছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের ঢাকায় প্রেরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য সন্দেহভাজনের সোয়াব নেওয়া হবে। সোয়াব মানে নাক ও গলা থেকে শ্লেষা নিয়ে পরীক্ষা। যা পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে করোনা পজিটিভ নাকি নেগেটিভ। কোন এলাকায় যদি হাম হয় তাহলে সেখানকার কারো এরকম নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হতো। ঠিক তেমন ভাবেই এটি। সন্দেহভাজন কাউকে মিললে তার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে প্রেরণ করা হবে ঢাকায়। টেস্টটিউবে করে ব্যাগে করে নিরাপদভাবে যাবে পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউটে, সেখানে পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। চিকিৎসক যদি মনে করেন তার সোয়াব টেস্ট করা প্রয়োজন এবং আইইডিসিআর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলেই পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলা পর্যায়ে ল্যাব টেকনিশিয়ানদের অনলাইনে একটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে কারো নমুনা সংগ্রহ করে এখনো সোয়াব টেস্টের জন্য পাঠানো হয়নি। আরো বলেন, মুন্সীগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নেই। হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী) পর্যায়ক্রমে দিচ্ছে। আমাদের চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই আছে বলে আছেন বলে জানান তিনি।
×