স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা উন্নয়নে গেলো এক দশকে মোহাম্মদপুরের চেহারা বদলেছে অনেকখানিই। তবে ফুটপাথের বেহাল দশা, অবৈধ স্থাপনা আর যেখানে-সেখানে পার্কিংয়ের কারণে যানজটের দুর্ভোগ কমেনি। সেই সঙ্গে খেলার মাঠগুলোরও নেই রক্ষণাবেক্ষণ।
আগামীর মেয়র-কাউন্সিলরদের কাছে এ সব সমস্যার সমাধান চান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা চাইছেন ক্লিন ইমেজের জনপ্রতিনিধি।
রাজধানীর যে এলাকার সড়কে গেলে মনে হয়, যেন মোঘল সাম্রাজ্যে পদচারণা- অন্তত নামে সেটি হচ্ছে মোহাম্মদপুর। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে- মোটামুটি এই এলাকার বিস্তৃতি। গেল এক দশকে মোহাম্মদপুরের পুরাতন ধাঁচের বহু বাড়ি ভেঙে নতুন বহুতল ইমারত উঠেছে।
বেড়েছে স্থায়ী-অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যাও। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিপণিবিতান সব মিলিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মোটামুটি গোছানো এলাকা হিসেবে পরিচিতি আছে মোহাম্মদপুরের।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের এক মাসেরও কম সময় বাকি। নাগরিক সেবা, উন্নয়ন-সংস্কার নিয়ে বাসিন্দারা বললেন, ভাঙাচোরা সড়কের সংখ্যা কমেছে। তবে ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা, নির্মাণ সামগ্রী থাকায় হাঁটা দূরত্বেও যানবাহন ব্যবহার করতে হয়। বন্ধ করা যায়নি অবৈধ পার্কিং।
মোহাম্মদপুরে সাত-আটটি মাঠ থাকলেও-প্রাণহীন ঘাসহীন। নেই রক্ষণাবেক্ষণ। অবৈধ স্থাপনার চাপ, ক্রমশ সংকুচিত করছে মাঠগুলোকে।
অবশ্য জাকির হোসেন রোডের মাঠের চেহারা কিছুটা ভদ্রস্থ হয়েছে। মোহাম্মদপুরের প্রান্তে থাকা খালের দূষণ কমাতেও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। কোথাও আছে জলাবদ্ধতা।
কোথাও হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক।
ক্লিন ইমেজের জনপ্রতিনিধি দেখতে চান স্থানীয়রা। ভোটাররা বলছেন, জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতির সঙ্গে নিজেদের এলাকার নাম জড়াক এটা তারা চান না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: