ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাকুন্দিয়ায় স্কুলছাত্রী রিমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২১ জুলাই ২০১৯

পাকুন্দিয়ায় স্কুলছাত্রী রিমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষক গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ ॥ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি আক্তার রিমাকে (১৪) গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল হোতা পিয়াস মিয়াকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। পিয়াস পাকুন্দিয়ার চরফরাদী গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে। সে রিমা ধর্ষণ-হত্যায় দায়ের করা মামলার ২নং আসামি। র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার বিএন এম শোভন খানের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল চট্টগ্রামের পশ্চিম মাদার বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। রবিবার দুপুরে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পে প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৭ জুলাই দিবাগত রাতে জেলার হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ও হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিমা পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়ার গাংধোয়ারচর গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনার পরপরই র্যাবের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় ২নং আসামি পিয়াস মিয়াকে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রামের পশ্চিম মাদার বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিয়াস ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়, ঘটনার রাত্রে সে সুকৌশলে স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে প্রথমে নিজে ধর্ষণ করে এবং পরে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরকে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে বলেও কোম্পানী অধিনায়ক জানান। উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই সকাল ১১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী গাংধোয়ারচর গ্রামে নানার বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ের একটি বরই গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় স্কুলছাত্রী স্মৃতি আক্তার রিমার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন দিবাগত রাতে নিহতের মা আঙ্গুরা খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা (নং-৮) দায়ের করেন। মামলায় পাকুন্দিয়ার চরফরাদী গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে জাহিদ মিয়া, রুবেল মিয়ার ছেলে পিয়াস মিয়া, ফারুক মিয়ার ছেলে রুমান মিয়া ও কফুল উদ্দিনের ছেলে রাজু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
×