ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে দিয়েও গ্রেফতার হয়নি আসামি

প্রকাশিত: ০২:২২, ২৩ জুলাই ২০১৭

ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে দিয়েও গ্রেফতার হয়নি আসামি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ রামুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর চোখের পানির মূল্য দেয়নি পুলিশ। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ফেসবুক, টুইটার সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে মামলার আসামি লম্পট আবছার বিন ছায়েদকে একমাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি রামু থানা পুলিশ। ১৮ জুন নির্যাতিত ছাত্রী বাদী হয়ে আবছারকে একমাত্র আসামি করে মামলা করায় তাদের উল্টো হুমকিতে বাড়ি ছাড়া হয়েছে ওই স্কুলছাত্রী। ধনাঢ্যশালী প্রবাসি পুত্র প্রকাশ্যে ঘুরা-ফেরা করলেও পুলিশ বলছে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সূত্র জানায়, রামু ফতেখাঁরকুল তেচ্ছিপুলের প্রবাসী সৈয়দ নুরের পুত্র আবছার বিন ছায়েদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীর শারীরিক সম্পর্ক তৈরি এবং তার অজান্তে নানা মুহুর্তের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ধারন করে রাখে ধর্ষক। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা আদায় করেও ক্ষান্ত হননি ধর্ষক আবছার। তার মায়ের স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে তাকে দেয়ার জন্য চাপ দিলে তাতে রাজি হয়নি ওই ছাত্রী। আর এটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। স্বর্ণ না পেয়ে আবছার ২ জানুয়ারি সেই ভিডিও এবং ছবি ওই হতভাগী ছাত্রীর বান্ধবী ও স্বজনের ম্যাসেঞ্জার, ইমোতে পাঠানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী জানান, মামলা করার একমাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে ধরতে কোন অভিযান চালায়নি। রামু থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, এজাহার ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া সেইসব ছবি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নারী নির্যাতন আইনে আবছারের বিরুদ্ধে মামলা লিপিবদ্ধ হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কালাম আজাদ জানান, আসামি অত্যন্ত ধূর্ত। সে বাড়িতে থাকে না। কিন্তু মাঝে মধ্যে এলাকায় আসে। তাকে ধরতে পুলিশ নানা কৌশল অবলম্বণ করেছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, আসামিকে আটক করতে সময় বেঁধে দিয়ে রামু থানার ওসিকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
×