পিঠা শুধু লোকজ খাদ্য নয়, এটা বাংলার ও বাঙালীর লোকজ ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় পারিবারিক ও সমাজ জীবন থেকে পিঠা তৈরির প্রচলন কমে গেলেও ঈদ পার্বণে শুরু হয় বাহারী পিঠা তৈরির ধুম। ঈদ ঘনিয়ে এলে গ্রাম বাংলার নারীরা নকশি পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। গরিব ধনী নির্বিশেষে সকল পরিবারের নারী ফুলপিঠা, ঝিলিমিলি, পাতা, সেওই পিঠা তৈরিতে মনোনিবেশ করে। আত্মীয়-স্বজনদের আপ্যায়নে তারা বাহারী এসব নকশি পিঠা তৈরি করে। পিঠা না হলে ঈদের আগে বা পরের মজাটাই বিফল হয়। ভাত বাঙালীর প্রধান খাদ্য কিন্তু খাদ্য রসিক বাঙালী সুদীর্ঘ কাল থেকে ভাতের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে থাকে। এরমধ্যে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। কারণ লোকজ এ খাদ্য আবহমান বাংলার সামাজিকতার অপরিহার্য অঙ্গ। এমন কোন বাঙালী রমণী নেই যিনি পিঠা তৈরি করতে জানেন না। পিঠার কদর সমাদর ছিল আজও আছে এবং নকশি পিঠা পূর্ববর্তী সকল পিঠার আধুনিক সংস্করণ।