ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশগামীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

বিদেশগামীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত বছর বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৭ লাখ শ্রমজীবী মানুষ চাকরি নিয়ে বিদেশ গেছে। রামরুর তথ্যমতে এর ৮১ ভাগই পাড়ি দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সব ধরনের শ্রমিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর বাংলাদেশী দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকদের মূল পছন্দের তালিকায় যোগ হয় ড্রাইভিং। বিআরটিএ অনুমোদিত ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ড্রাইভাররা। বিআরটিএ বলছে তাদের ওয়েবসাইটে যাবতীয় তথ্য সেবা দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে ছেড়ে যেতে হবে পরিবার আর কাছের মানুষ। নিজেদের সর্বস্ব নিয়ে বাজি ধরতে ও তারা রাজি, স্বপ্ন একটাই যেতে হবে সৌদি আরব। তার জন্য চাই বিআরটিএ অনুমোদিত ড্রাইভিং লাইসেন্স। আর সেখানেই বিধিবাম। বহুদূর পাড়ি জমাতে চাওয়া এসব লোকদের হোঁচট খাওয়ার গল্প ঢাকা পড়ে যায় অভিযোগ বক্সের ঝুলানো তালায়। ‘পনেরো বিশ দিনের মধ্যে যদি লাইসেন্স না পাই তাহলে ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। শুধু হাতে পায়ে ধরার বাকি ছিল।’ বলছিলেন এক লাইসেন্স প্রত্যাশী। অপর একজন বলেন, ‘বাংলাদেশেই যদি টাকা সব শেষ হয়ে যায় তাহলে বিদেশে গিয়ে কি করব আমরা? মেডিক্যাল করেছি পাঁচবার।’ কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা স্পষ্ট হলো ভুক্তভোগীদের কথায়, আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে তৎপর দালালরা। সমস্যা সমাধানে বিআরটিএর পরিচালক নুরুল ইসলাম তুলে ধরল ওয়েবসাইটের সহযোগিতার কার্যক্রম কিন্তু বাস্তবে তা মিলছে না। শ্রম বাজারের এ বিষয় যতেœর সঙ্গে তদারকি করতে বিশেষ ইউনিট খোলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। রামরুর চেয়ারম্যান ড. তাসনীম এ সিদ্দীক বলেন, ‘সৌদি আরবে যাওয়াটা আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য। সেহেতু অবশ্যই বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ করা যেতে পারে যারা দেশের বাইরে কাজের জন্য লাইসেন্স নিচে চাচ্ছে তাদের সহযোগিতার জন্য।’ রামরুর তথ্যমতে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারেরও বেশি লোক পাড়ি দিচ্ছে দেশের বাইরে।
×