ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় মেজরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ০২:২০, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬

গাইবান্ধায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় মেজরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে যৌতুক বিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলায় চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত মেজর একেএম সাইফুল হক (বিএনং ৫২২০) এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সদর উপজেলা আমলী আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাইনুল হাসান ইউসুফ ল রবিবার দুপুরে এ আদেশ দেন। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, গাইবান্ধা শহরের থানাপাড়ার মো. সদরুল আমিনের মেয়ে শামিমা নাসরিনের সাথে প্রেমের সম্পর্কের পরিণতিতে ২০০২ সালের ২৫ জুন সাইফুল হকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী সাইফুল স্ত্রীর কাছে মোটা অংকের যৌতুকের দাবি করে আসছিলেন। এই অবস্থায় বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে ইন্সুরেন্সের কথা বলে স্ত্রী শামিমার কাছে কৌশলে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাকে তালাক দেন সাইফুল। এর কিছুদিন পর শামিমাকে জানানো হয় তাদের তালাক হয়ে গেছে। শামিমা বিষয়টি তার বাবাসহ অন্যদের জানালে এ নিয়ে সাইফুলের চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে বিবেচনায় ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর পুনরায় কাবিননামার মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে বর্তমানে ১১ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ইতিমধ্যে মেয়ের বাবা সদরুল আমিন মারা যান। ততদিনে সাইফুল হক মেজর পদে উন্নীত হয়েছেন। তিনি স্ত্রী শামিমা নাসরিনের কাছে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। অন্যথায় সংসার করতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু শামিমা যৌতুকের টাকা দিতে রাজি হননি। এজন্য শামিমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২২ আগষ্ট গাইবান্ধা সদর জুডিশিয়াল আদালতে যৌতুক নিরোধ আইন ধারা-৪ এর আওতায় মামলা দায়ের করেন। শামিমা নাসরিনের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সারওয়ার হোসেন বাবুল জানান, মামলা দায়েরের দিনই মেজর সাইফুল হককে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বিচারক সমন জারি করেন। এরপর আরও ৩টি ধার্যদিন উত্তীর্ণ হলেও মেজর সাইফুল হক আদালতে হাজির হননি। এরফলে রবিবার ওই আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
×