ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এক শ’ ৫৯ বছর হয়েছে। জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে চলেছে অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। ভারতের তৎকালীন ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানেও দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যাপীঠের হাজার হাজার ছাত্র এখন জ্ঞানের দ্যুতি ছড়াচ্ছে। ১৮৫৭ সালে সরাইল পরগনার জমিদার রায় বাহাদুর অন্নদা প্রসাদ রায় অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এলাকার শিক্ষা বিস্তারে তিনি তিন একর জায়গা দান করেন। প্রথম দিকে তেমন ছাত্র ছিল না। দিন যতই বাড়তে থাকে, ছাত্র সংখ্যাও বাড়তে থাকে। সে সঙ্গে বাড়ে সুনাম। ইট-সুরকি নির্মিত ভবনটি কালের সাক্ষী হয়ে আজও আলোকিত করার সাক্ষ্য দিচ্ছে। ৭.৩৮ একর জায়গা রয়েছে এখন স্কুলের। ইট-সুরকি নির্মিত মূল ভবনটিতেই দীর্ঘ এক শ’ ৪১ বছর ধরে প্রশাসনিক কাজ চলছে। বর্তমানে ২২শ’ ছাত্র রয়েছে এ শিক্ষালয়ে। ৪৬ শিক্ষক, মাস্টার রোলের আট কর্মী, ১০ অফিস সহায়ক নিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। ১৯৬৮ সালের পহেলা মে সরকারী করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষক ও অফিস সহায়ক সঙ্কট রয়েছে। ১৯৬৩ সালে দেশের বর্তমান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চার বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে তাক লাগিয়ে দেন। এ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা সৃজনশীল মেধা অন্বেষণে জাতীয় পর্যায়ে ২০১৪ সালে গণিত ও কম্পিউটারে সেরা মেধাবী হিসেবে বিবেচিত হয়। খেলাধুলা, সাহিত্য, বিজ্ঞানমেলা, শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিবারই বিবেচিত হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়ার্ড ও ভাষা প্রতিযোগিতায় সুনাম অর্জন করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনীন বলেন, আমরা মেধাবী ছাত্র তৈরি করার পাশাপাশি সুযোগ্য মানুষ এবং মূল্যবোধসম্পন্ন ছাত্র সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
Ñরিয়াজউদ্দিন জামি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: