স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ৩ ইউনিয়নের তৃনমূল নেতা কর্মীদের গোপন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী পরিবর্তন নিয়ে বুধবার দিনভর গুজন ছড়িয়ে পরে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে ৩টি ইউনিয়নে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে বলে উপজেলার চায়ের দোকান হতে সর্বত্র এ বিষয়টি ‘টক অফ দ্যা ডে’তে পরিনত হয়। গত ২৪ মার্চ উপজেলার রংমেহার পল্লি উন্নয়ন ক্লাবে গোপন ভোটের মাধ্যম উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নে জহিরুল হক লিটন ঢালী, বেতকা ইউনিয়নে বাচ্চু শিকদার এবং কে. শিমুলিয়া ইউনিয়নে আনিসুর রহমানকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত করে কাউন্সিলরা। পরে কাউন্সিল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ দিচ্ছিল আউটশাহী ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী সেকান্দর বেপারী, বেতকা ইউনিয়নের শওকত আলি খান মুক্তার এবং কে. শিমুলিয়া ইউনিয়নের নুর হোসেন বেপারী। পরে বুধবার সকাল হতে পরাজিত ওই ৩ প্রার্থী ও তাদের পক্ষের লোকজন এ ৩ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে প্রার্থী পরিবর্তন করে তাদের মনোনয়ন দিয়েছে বলে দিনভর গুজন ছড়ায়।
এ ব্যাপারে আউটশাহী ইউনিয়নের নৌকা মার্কার মনোনিত প্রার্থী জহিরুল হক লিটন ঢালী জানান, তৃনমূল পর্যায়ের ১৮টি ভোটের মধ্যে ১৬টি ভোট পেয়ে আমি নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। অথচ আমার বিপক্ষ পার্টি সেকান্দার বেপারী প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে মিথ্যাচার করে প্রচার করছে তাকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হতে তৃনমূল রায়কে উপেক্ষা করে নৌকা মার্কার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বেতকা ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী শওকত আলি খান মুক্তার জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ভূতু হালদারের কাছে আমি জানতে পেরেছি প্রার্থী পরিবর্তন করে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জগলুল হাওলাদার ভূতু জানান, আমিও বিষয়টি শুনতে পেয়েছি তবে এ সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র এখোনো পাইনি।