স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ করোনা ভাইরাসে মৃত দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ১১টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জানাজায় অংশগ্রহণকারী একজন ঈমাম ও একজন মোয়াজ্জিন এবং লাশ গোসলকারী আরও এক ব্যক্তিকেও হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় একটি মসজিদেও আগামী ১৪ দিন নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাবিরুল ইসলাম খান জানান, সোমবার ঢাকার ওয়ারিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান কনকসার গ্রামের ওহাব দেওয়ান। তিনি গত শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে এসে ৭টি পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। যদিও ওই পরিবারগুলো সরাসরি তার সংস্পর্শে আসেনি তারপরেও ওই ৭টি পরিবারকে আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এ সময় তাদের খাবার-দাবার এমনকি কাচা বাজারও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়িতে পৌছে দেয়া হবে।
ইউএনও আরও জানান গত শুক্রবার ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে মারা যান নাগের হাটের মো. হারুন। মৃত্যুর পরে সোমবার সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানতে পারি। তার লাশ গ্রামে নিয়ে আসলে পরিবারের সদস্যরা লাশের সংস্পর্শে আসে। এ জন্য ৪টি পরিবারকে আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া তাকে গোসল করানোয় সাতঘড়িয়ে কবরাস্থানের পাশের দোকানি রব মিয়াকেও ওই দোকানেই কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তার জন্য পাশেই একটি টয়লেট নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া জানাজায় অংশ গ্রহণকারী সাতঘড়িয়া কবরাস্থান মসজিদের ইমাম ও মোয়জ্জিনকেও হোম কোয়ারেইন্টে রাখা হয়েছে। যেহেতু ওই মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে এসে করোনায় আক্রান্ত হবার সম্ভবনা রয়েছে তাই আগামী ১৪ দিন ওই মসজিদে সকলকে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: