ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়া ঘাটে ফের মানুষের চাপ

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ২৮ মার্চ ২০২০

শিমুলিয়া ঘাটে ফের মানুষের চাপ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ফের বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় হাজারো মানুষের ভীড়। এর আগে সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর গত মঙ্গলবার ও বুধবার শিমুলিয়া ঘাটে ছিল লাখো মানুষের ভীড়। ভীড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খায় প্রশাসন। সরকারের ঘোষণায় লঞ্চ, সীবোট বন্ধ করে দেওয়ার পরও চাপ সামলাতে না পেরে বাধ্য হয়ে খুলে দেওয়া হয় লঞ্চ স্পীডবোট। সচল করা হয় ১৪টি ফেরি। এসব দিয়ে যানবাহন পার না করে শুদু পার করা হয় যাত্রী। করো সংক্রামণের কথা ভুলে মানুষ ছুটতে শুরু করে বাড়ি। এতে কিছু হয়নি রাতভর জীবনের ঝুকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, মাছ ধরার ট্রলার দিয়ে যাত্রীরা পদ্মা পারি দিয়েছে। এরপর প্রশাসনের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার থেকে ঘাট এলাকায় কমে আসে চাপ। শুক্রবার দিনভর ঘাট এলাকা ছিল ফাঁকা। লঞ্চ এবং সীবোট বন্ধ থাকার পরও কোন গাড়ি বা যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়নি। ১৪ টি ফেরির মধ্যে চলেছে মাত্র ৩টি। কিন্তু শনিবার চিত্র ছিল ভিন্ন। ঘাট এলাকায় আবার দেখা যায় জনতার চাপ। গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার পরও থামানো যাচ্ছেনা মানুষের চলাচল। শিমুলিয়া কাঠালবাড়ি নৌপথে ১৪ টি ফেরির মধ্যে মাত্র ৪ টি সচল রাখা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। কাচাঁমাল পণ্যবাহী ট্রাক, ওষধ সরবরাহকারী পরিবহন ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স। ফেরি ছাড়া শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ, সীবোট ও ট্রলার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গত সোমবার থেকে। এরপরও মানুষের চাপ কমানো যাচ্ছেনা শিমুলিয়া ঘাটে। এদিকে শিমুলিয়া পোর্ট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানান, গণপরিবহন বন্ধ হওয়ার পরও মানুষের ঢল কিছুতেই থামছেনা। ফেরি ঘাটে ভিড়ার সাথে সাথে মানুষের ঢল নামে ফেরিতে উঠার জন্য। কোন ভাবেই তা ঠেকানো যাচ্ছেনা। করোনার সচেতনতার বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, এত মানুষের ঢল ফেরিতে লোকের ঠায় ধরেনা। সেখানে করোনা সচেতনতার কথা কে শোনে। এই বিষয়ে লৌহজং থানার ওসি মো. আলমঙ্গীর হোসাইন জানান, আমরা সচেতনতার জন্য ২৪ ঘন্টা কাজ করে চলেছি। ফেরি ঘাটের বিষয়টি আলাদা। ফেরিতে গাদাগাদি করে মটর সাইকেল ও যাত্রীরা চড়ছে। যেখানে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে হাটে-বাজারে, বিভিন্ন মুদি দোকানে ছক একে দেয়া হয়েছে দুরুত্ব বজায় রাখার জন্য। সেখানে ফেরিতে কোন জায়গা নেই। কোন লোক যদি করোনা ভাইরাস নিয়ে এই জনসমাগমে ফেরিতে উঠে তা হলে ওই এলাকায় মহামারি ছড়াতে খুব একটা সময় লাগবেনা।
×