নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল॥ বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসককে (৩৬) ও একজন এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইবারকে (৩৮) হোম কোরেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদি গ্রামের এক যুবক (২৫) মঙ্গলবার সকালে জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে চিকিৎসার জন্য বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এ সময় কর্ব্যরত এক ডাক্তার তাকে চিকিৎসা প্রদান করেন এবং করোনা সন্দেহে তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেন।
এরপর রাত ১০টার দিকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সে করে ওই যুবককে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসময় তার সাথে ওই যুবকের মা ও শ্বশুর ছিলেন। বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই যুবককে রেখে এ্যাম্বুলেস ড্রাইবার বাউফলে আসার পর তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এর অগে ওই চিকিৎসকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এ্যাম্বুলেন্সটি বুধবার সকালে জীবানুমুক্ত করার কথা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার প্রশান্ত কুমার সাহা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহ ভাজন ওই যুবক ৬ দিন আগে ঢাকা থেকে নিমদি গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং সোমবার সকালে শ্বশুর বাড়ি দাশপাড়া বেড়াতে যান। সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থা মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসার জন্য বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। সত্যি যদি তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ওই যুবক বাড়ি আসার পর যাদের সাথে তার দেখা স্বাক্ষাৎ হয়েছে তারা কি অবস্থায় আছেন, এনিয়ে দুই গ্রামের মানুষ দুঃচিন্তার মধ্যে পরেছেন।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ সন্দেহ ভাজন ওই যুবকের পরিবারের সকল সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টানে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে বাউফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে একটি পরিত্যাক্ত ভবনে সংস্কার করা হচ্ছে। সেখানে আইসোলেশন বিভাগ খোলা হবে। ১৫-২০ দিন আগে ওই ভবনের কাজ শুরু হলেও এখন পর্ন্তন্ত তা শেষ হয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের তিনতলায় দুইটি কক্ষে করোন ইউনিটি খোলা হলেও সেখানে কোন চিকিৎসা সুবিধা নেই। এ ছাড়াও চিকিৎসকদের জন্য নেই কোন সেপ্টির ব্যবস্থা।