নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার ॥ মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়ক যেনো সড়ক নয় এ যেন মরন ফাঁদ। জেলা শহরের সাথে কমলগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ন সড়ক এটি। স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীসহ বলতে গেলে ওই উপজেলার নানা শ্রেণী পেশার কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগের অবলম্বন এই সড়কটিই এখন দৈন্য দশায়। চলাচলে অসহ্যনীয় দূর্ভোগ। পুরোটা রাস্তাই খানাখন্দ। রাস্তার মধ্যখানে বড় বড় গর্ত। গর্তে জমে থাকে বৃষ্টির পানি। চরম ঝুঁকি নিয়ে চলে যাত্রীবাহী গাড়ি। শুধু গাড়ি চলাচল নয় পায়ে হাঁটাও এখন অনেকটাই অসম্ভব। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে উঠলেও তা মেরামতের যথা যত কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষের। মন্ত্রী এমপিসহ সংশ্লিষ্ট নানা স্থানে ধর্ণা দিয়েও যেই সেই।
মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। সড়ক থেকে পিচ উঠে স্থানে স্থানে অসংখ্য ভাঙা ও বড় বড় গর্তে পরিনত। গর্ত আর খানাখন্দে যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত পাঁচ বছর যাবত সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে গর্তগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৌলভীবাজার থেকে শমসের নগর ২০ কিলোমিটার রাস্তায়। এই ২০ কিলোমিটার রাস্তায় অতিক্রম করতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগে। রাস্তা মেরামতের দাবি দীর্ঘ দিন থেকে জানানো হয়। কিন্তু কতৃপক্ষ কোন মেরামতে উদ্যোগ নেয় নি। ফলে সড়কের পুরো অংশই অসংখ্য খানাখন্দে কারনে এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম সড়কের বেহাল দশার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সড়কের ২০ কিলোমিটার টেন্ডারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন হয়ে গেলেই ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। এলাকা বাসীর প্রত্যাশা দ্রুত ঠিকাদার নিয়োগ এবং কাজের কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শুরু হবে।