ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

*মাদারীপুরে পদ্মায় আবারো পানি বৃদ্ধি

২য় দফা ভাঙ্গনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিলীন

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

২য় দফা ভাঙ্গনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিলীন

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে পদ্মায় আবারো অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২য় দফা ভাঙ্গনে শিবচর চরাঞ্চলের হাসপাতালসহ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনের ঝূঁকিতে রয়েছে ৫ স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হাসপাতালসহ বহু স্থাপনা ও ফসলি জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। একাধিক সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর প্রথম দফা আগষ্টে শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি ও বন্দরখোলা ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। সে দফায় একটি মাদ্রাসা, ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি , ব্রীজ কালভার্ট, ফসলি জমি পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়। ভাঙ্গন মুখে পড়ে ৩ স্কুল ভবন, ২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র কাম কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন হাটবাজারসহ ৩ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা এবং কয়েক‘শ বসত বাড়ি। পাশাপাশি আড়িয়াল খাঁ নদী তীরবর্ত্তী সন্নাসীরচর ও শিরুয়াইল ইউনিয়নে ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভাঙ্গনের ভয়াবহতা পরিদর্শনে আসেন চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাৎক্ষনিক নির্দেশে পদ্মা নদীর ২টি গুরুত্বপূর্ন স্থান ও আড়িয়াল খাঁ নদের ২ পয়েন্টে জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করে। কিন্তু ২য় দফায় গত ২৪ ঘন্টাসহ কয়েক দিনের অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট তীব্র ¯্রােতের তোড়ে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নেয়। মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়ে চরাঞ্চলের দ্বিতল বিশিষ্ট কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটির অধিকাংশ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনে চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিতরা ঘর বাড়ি নিয়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছে মানুষ। এসব এলাকার বৃহৎ জনগোষ্ঠী ঝূকিতে রয়েছে। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে ৫ স্কুল ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হাসপাতালসহ বহু স্থাপনা ও ফসলি জমি। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল নোমান বলেন, ‘গত ২৪ ঘন্টাসহ কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন আবারো তীব্র আকার ধারণ করেছে। চরের একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শতাধিক ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। আমরা দফায় দফায় আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
×