ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জতিক সীমানা রেখা অনুযায়ী সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের ॥ বিজিবি মহাপরিচালক

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আন্তর্জতিক সীমানা রেখা অনুযায়ী সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের ॥ বিজিবি মহাপরিচালক

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপে দীর্ঘ ২২ বছর পর সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বিজিবির সেন্টমার্টিন চৌকি পরিদর্শন করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম (এনডিসি, পিএসসি)। এসময় তিনি বলেন, হয়ত মিয়ানমার অজ্ঞাত বসত এটি তাদের বলে বলছে। আন্তর্জাতিক সীমানা রেখা অনুযায়ী সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় তিনি বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ এর বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে সেন্টমার্টিনে তৈরীকৃত হেলিপ্যাডে সফরকারী বহর নিয়ে অবতরণ করেন। এসময় টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল খান ও অপস অফিসার মেজর রুবাইয়াত বিজিবি মহাপরিচালককে অভ্যর্থনা জানান। এরপর তিনি মোটর সাইকেল যোগে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের নিরাপত্তা রক্ষা এবং চোরাচালান দমনে দীর্ঘ ২২ বছর পর স্থাপিত সেন্টমার্টিন চৌকি ও বিওপির জন্য সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। বিজিবি মহা পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, টেকনাফ সীমান্তের যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় জলপথে তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজিবি। তারই অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিনে ২২ বছর পর বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একটি বিওপি করার পরিকল্পনাও চলছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে সেন্টমার্টিন বিওপির জন্য নির্ধারণকৃত জমি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম। সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের অংশ দাবি করা নিয়ে তিনি বলেন, হয়ত মিয়ানমার অজ্ঞাত বসত এটি বলছে। আন্তর্জাতিক সীমানা রেখা অনুযায়ী সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের। খুব কম সময়ের মধ্যে বিজিবি সেন্টমার্টিনে টহল আরও বৃদ্ধি করবে। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশ সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ চলছে। বিজিবির তৎপরতায় অনেক অংশে কমে এসেছে চোরা চালানসহ বিভিন্ন অপরাধ। কমে এসেছে ইয়াবা পাচার। আগের তুলনায় ইয়াবা পাচার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পাশাপাশি ইয়াবার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ সময় কক্সবাজার রামু সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মাইন উদ্দিন চৌধুরী, বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল রহমান, সেক্টর কমান্ডার মনজরুল হাসান খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীনের পর হতে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বিডিআরের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ছিল। ১৯৯৭ সালের শেষের দিকে তাদের সরিয়ে আনা হয়। পর্যটকদের অন্যতম বিনোদনের এই দ্বীপকে সম্প্রতি মিয়ানমার তাদের দাবী করে বিভিন্ন ছলছাতুরীর আশ্রয় নেয়। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার এই দ্বীপে পুনরায় বিজিবির নতুন কার্যক্রম সচল করে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করে।
×