নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ দিন আটকে রেখে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলায় এক নারীসহ গ্রেফতার হয়েছেন দুজন।
গত রবিবার রাতে উপজেলার চতরাহাট এলাকা থেকে শিরীনা বেগম (২৪) ও মাহফুজার রহমান মাফু (২৮) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিরীনা বেগম চতরাহাট এলাকার এমদাদুল হক বকুলের স্ত্রী ও মাহফুজার ছ্যানাগাড়ী-রঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারী স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে চতরা ধাপেরহাট টেম্পু স্ট্যান্ড সংলগ্ন এমদাদুল হক বকুলের ভাড়া বাসায় টয়লেট করতে যায় ওই স্কুলছাত্রী।এরপর আর তাকে আর বাড়ি ফিরতে দেয়নি অভিযুক্তরা। এদিকে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন অবিভাবকরা।
ঘটনার চার দিন পর গত বুধবার ওই ছাত্রীর মাকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে মেয়েকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বলেন এমদাদুলের স্ত্রী শিরীনা। পরে এমদাদুল হক বকুলের বাসা থেকে মেয়েকে উদ্ধার করতে যান ওই ছাত্রীর মা। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার মেয়েকে আটকে রেখে কয়েকব্যক্তি নিয়মিত ধর্ষণ করেছেন। উদ্ধারের চার দিন পর রবিবার সাত জনকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন ছাত্রীর মা।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, চতরা গ্রামের আলমগীর হোসেন (৫৫) ও তার স্ত্রী নুপুর (৪৮) ও আমজাদ হোসেনের ছেলে খোকন (৩০), ছ্যানাগাড়ী-চকরাঙ্গামাটি গ্রামের মাহফুজার রহমান মাফু (২৮), ছোটকুয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৩০) ও জিয়া(৩০)।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, ‘থানায় মামলা হয়েছে। এটি একটি গণধর্ষণের ঘটনা। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মাহফুজার রহমান মাফু ও শিরীনা নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: