ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পত্র বিতরণে হয়রানি

প্রকাশিত: ০২:৫১, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পত্র বিতরণে হয়রানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে মনোনয়ন পত্র বিতরণে অনিয়ম ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনেছেন এক নারী ইউপি সদস্য। কেরোয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসন-৩ আসনে প্রার্থী শিরিন সুলতানা এ অভিযোগ করেছেন। তিনি বিষয়টি লিখিতভাবেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। রবিবার দুপুরে (২১ জানুয়ারি) শিরিন সুলতানা জানান, তিনি রায়পুর উপজেলা পরিষদের মহিলা সদস্য পদে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য ১৪ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান। নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী মাহফুজ আলম নানান টালবাহানা করে তাকে ফরম প্রদানে গড়িমসি করেন। ওই সময় তিনি ফরম বিতরণে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েক ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে ফরম বিতরণে অনিহা দেখান। ফরম দিতে হলে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুমতির দোহাইও দেন। কালক্ষেপন করে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সর্বশেষ দিন দুপুরে তাকে একটি ফরম দিয়ে বিকাল ৫টার মধ্যে জমা দেওয়ার কথা বলেন। ওই সময়ের মধ্যে তিনি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সোনালী ব্যাংকের লক্ষ্মীপুর শাখায় ট্রেজারী চালানে ফি জমা দিতে গেলে নির্বাচন অফিস থেকে তা গ্রহণ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়। এসব কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। অফিস সহকারী মাহফুজুল আলম বিশেষ ব্যক্তিদের হয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতার সুযোগ থেকে দূরে রেখে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় অন্যদেরকে বিজয়ী করার সুযোগ করে দিয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মাহফুজ আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। দলীয়ভাবে ৪ জন প্রার্থী দেওয়া হবে বলায় আমি তাকে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা বলে ফরম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। নির্বাচন অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক আমি কাজ করেছি। জমা দেওয়ার শেষ দিন আমি তাকে ফরম দিলেও তিনি যথাসময়ে জমা দিতে পারেননি। উপজেলা নির্বাচন অফিসার স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে তিনি লিখিতভাবে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। যেহেতু উর্ধ্বত্বন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন, তারাই বিষয়টি দেখবেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বিএসসি বলেন, কে প্রার্থী হবেন বা কে হবেন না- এটা নিয়ে আমি বা আমাদের কেউ নির্বাচন অফিসে বা অন্য কোথাও কোনো কথা বলেননি। কেউ এ ধরণের মিথ্যা কথা বলে থাকলে তাকে অবশ্যই এর দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। উল্লেখ্য, ১৭ জানুয়ারি ছিল রায়পুর উপজেলা পরিষদের ৪ জন মহিলা সদস্য নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এ নির্বাচনে ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে নির্বাচিত সংরক্ষিত আসনের ৩৩ জন নারী ইউপি সদস্যগণ ই মূলত ভোটার। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ৪টি আসনে ইতোমধ্যে মাত্র ৪টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এদের মধ্যে সংরক্ষিত আসন-১ মরিয়ম বেম, ২নং আসনে হাছিনা বেগম, ৩নং আসনে কুলছুমা বেগম ও ৪নং আসনে সামছুন নাহার লিলি নির্বাচিত হওয়ার পথে।
×