ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আগুন পোহাতে গিয়ে ১৬ দিনে প্রাণ হারালো ১৯ জন

প্রকাশিত: ০১:২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

আগুন পোহাতে গিয়ে ১৬ দিনে প্রাণ হারালো ১৯ জন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ১৬ দিনে রংপুরমেডিকেল কলেজ (রমেক)হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ ১৯ জন নারী প্রাণ হারালেন। শুক্রবার সকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুভাষ চন্দ্রের স্ত্রী গীতা রানী (২৫), লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার মিজানুর রহমানের স্ত্রী রুমকি (২৭), নীলফামারী সদরের মৃত তমিজ উদ্দীনের স্ত্রী আফরোজা (৭৫) এবং দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত খোদা বকসের ছেলে মকবুল (৬২) মারা যান। রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে ৩ জানুয়ারি থেকে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিকেরও বেশি অগ্নিদগ্ধ নারী, বৃদ্ধ ও শিশু রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। আহতদের শরীরে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এরমধ্যে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে মারা যান, লালমনিরহাট সদর থানার শাম্মি আখতার (২৭), একই জেলার পাটগ্রামের ফাতেমা বেগম (৩২) ও আলো বেগম (২২), রংপুরের কাউনিয়ার গোলাপি বেগম (৩০), নীলফামারীর রেহেনা বেগম (২৫), রংপুর নগরীর নজিবেরহাট এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪০), ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫), রংপুরের জুম্মাপাড়া পাকার মাথার রুমা খাতুন (৬৫), রংপুরের মাহিগঞ্জের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২৫), নীলফামারী সদরের সোনারাম গ্রামের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা খাতুন (৩০), লালমনিরহাট জেলার রাজপুর গ্রামের শুকমনি (৭০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জামেরন বেওয়া (৮০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৫), কুড়িগ্রামের নুরিজা (৩০) ও পঞ্চগড়ের আরজিনা (২৮)। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী পরিচালক নূরে বলেন, শীত তীব্রতা থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহানোর সময় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকার অন্তত শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশি ভাগের শরীরের ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়।
×