স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রী ও প্রশিক্ষকসহ চারজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে। কলেজ ছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি প্রায় এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে সোমবার কভার্ডভ্যানের চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী কালীগঞ্জ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর এসএম মাহবুবুর রহমান (৪৮) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। তার বাড়ি বগুড়ার শেরপুর থানার দশশিকা পাড়া এলাকায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, সোমবার দুপুরে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে মোটরসাইকেল যোগে তার কর্মস্থল কালীগঞ্জ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে যাচ্ছিলেন। পথে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কের শিমুলীয়া এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়াগতিতে একটি কভার্ডভ্যান তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে বাসের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রী নিহতের জেরে সোমবার সহপাঠি ও এলাকাবাসি প্রায় একঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। নিহত ওই ছাত্রীর নাম দিপারাণী মল্লিক (১৮) । তিনি স্থানীয় ধলাদিয়া ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং শ্রীপুরের জয়নারায়ন গ্রামের পরশ মল্লিকের মেয়ে।
শ্রীপুর মডেল থানার এসআই মোঃ কাওসার ও এলাকাবাসি জানান, স্থানীয় ধলাদিয়া ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিপারাণী মল্লিক (১৮) রবিবার দু’সহপাঠিসহ অটোরিকশাযোগে কলেজে যাচ্ছিল। পথে ঢাকা-কাপাসিয়া সড়কে রাজাবাড়ি ব্রিজ এলাকায় পথেরসাথী পরিবহনের একটি বাস তাদের অটোরিক্সাকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা তিনজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় রাত ১০টার দিকে দিপারাণী মারা যায়। এ খবরে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের সহপাঠি ও স্থানীয়রা কলেজর সামনে ওই সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে প্রায় এক ঘন্টা পর বেলা সাড়ে ১১ টার ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। তিনি শ্রীপুরের জয়নারায়ন গ্রামের পরশ মল্লিকের মেয়ে।
অপরদিকে মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন জানান, গাজীপুরে শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকায় একইদিন সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কাভার্ডভ্যান চাপায় এক কিশোর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে সে মারা যায়। আনুমানিক ১৫ বছর বয়সের নিহত ওই কিশোরের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পড়নে হলুদ চেক গেঞ্জি এবং গ্যাবাইডিং প্যান্ট রয়েছে। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে।
এছাড়াও শ্রীপুরের মুলাইদ এলাকার হাসিন সোয়েটার কারখানার শ্রমিক ইয়াসমিন আক্তার রবিবার রাতে কারখানা ছুটি পর বাসায় ফিরছিল। পথে এমসি বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মাওনা চৌরাস্তা আল-হেরা হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরণ করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে সে মারা যায়। নিহত ইয়াসমিন শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।