অনলাইন ডেস্ক ॥ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ছয় দিনের সফরে ভারত গেছেন। ১৯৯২ সালে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর দ্বিতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিল্লি সফরে গেলেন তিনি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে নেতানিয়াহুর এটাই প্রথম সফর।
রবিবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে দিল্লি বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। আজ সোমবার তাদের আবারো বৈঠকের কথা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভেশ কুমার টুইটারে এক বার্তায় জানান, আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের ২৫ বছর পূর্তিতে তার সফর উভয়ের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, ব্যবসা এবং কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়গুলো অালোচনায় বেশি গুরুত্ব পাবে। ইসরায়েলের লক্ষ থাকবে দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিশালী দেশটির সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার। তাছাড়া ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির সবচেয়ে বড়ো ক্রেতা হলো ভারত। সে ব্যাপারেও আলোচনা হতে পারে।
নেতানিয়াহু এমন এক সময়ে ভারত সফরে আসলেন, যার কয়েকদিন আগেই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর জাতিসংঘে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জেরুজালেম ইস্যুতে ট্রাম্পের পথে হাঁটবে না ভারত। বরং ভারতের সমর্থন ফিলিস্তিনের দিকেই থাকবে। এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করবে ভারত।
অবশ্য জেরুজালেম ইস্যুতে আগেই ভারতের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জেনে গেছে ইসরায়েল। সে কারণে ভারতকে এ ব্যাপারে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাইবে না ইসরায়েল। বরং অস্ত্র বিক্রি, কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা থাকবে নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকেও।
জানা গেছে, বলিউডের কর্ণধারদের সঙ্গেও সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে নেতানিয়াহুর। ইসরায়েলে চলচ্চিত্রের দৃশ্য ধারণের জন্য তাদেরকে আহ্বান জানাবেন তিনি।
সূত্র : আলজাজিরা