ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গুড়ায় নদীর মাটি যাচ্ছে ইটের ভাটায়

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

ভাঙ্গুড়ায় নদীর মাটি যাচ্ছে ইটের ভাটায়

সংবাদদাতা, ভাঙ্গুড়া, পাবনা ॥ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বড়াল ও গুমানী নদীর তীর এবং আশেপাশের এলাকায় গড়ে উঠেছে সাতটি ইটভাটা। এর অর্ধেক ভাটায় ইট বানানোর কাজে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বড়াল ও গুমানী নদী এবং নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের মাটি। চর থেকে মাটি কেটে ট্রলি ও নৌকায় করে প্রকাশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এ মাটির তৈরি ইটের গুণগতমান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি বলে জানা যায়। তাই অবৈধভাবে নদী ও চর থেকে মাটি কাটার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে পড়লেও তাদেরকে ম্যানেজ করে মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অষ্টমণিষা ইউনিয়নের তিনটি ভাটা নদী ও আশেপাশের এলাকায় গড়ে উঠেছে। এগুলো হলো শাহনগর গ্রামে পদ্মা ব্রিক্স, কল্লোল ব্রিক্স ও ঝবঝবিয়া গ্রামে সরকার ব্রিক্স। এসব ভাটায় স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে একযোগে পাঁচ-ছয়টি ট্রলি ও নৌকায় মাটি আনা হচ্ছে নদীর পাড় ও জেগে ওঠা চর কেটে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মেন্দা গ্রামের মোশাররফ হোসেন, লামকান গ্রামের আলম হোসেন ও ঝবঝবিয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ইটভাটা মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে গত একমাস ধরে নদী থেকে মাটি কেটে ট্রলি ও নৌকায় করে ভাটায় পৌছে দিচ্ছেন। মাটি কাটার বিষয়টি অষ্টমণিষা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা আহসান হাবিবকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। পদ্মা ব্রিক্সের ব্যবস্থাপক একরাম হোসেন নদী ও চরের মাটি দিয়ে ইট বানানোর কথা স্বীকার করে বলেন, এ মাটি দিয়ে তৈরি ইটের মান ভালো হয় বলে এ মাটি ব্যবহার করা হয়। তবে প্রশাসন নিষেধ করলে মাটি নেয়া বন্ধ করা হবে। অষ্টমণিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আয়নুল হক বলেন, ’বেপরোয়াভাবে নদীর পাড় ও চর কাটার ফলে নদী ভাঙন তীব্র ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। এ বিষয়ে বুধবার ভাঙ্গুড়া উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মাহফুজা সুলতানা জানান, ‘মাটি কাটার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। নদী কিংবা নদীর চর থেকে মাটি তোলার কোনো অনুমতি নেই। এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
×