ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রুপাকে হত্যা মামলা ॥ চতুর্থ দিনের মতো স্বাক্ষ্য গ্রহণ

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

রুপাকে হত্যা মামলা ॥ চতুর্থ দিনের মতো স্বাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্র্থী রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও ঘার মটকে হত্যা মামলার চর্তুথ দিনের মত স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালতে। পাঁচ পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনা মামলাটি টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে এ স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া মামলার এ স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিশেষ পিপি একেএম নাসিমুল আক্তার ও মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান জানান, মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ছোঁয়া পরিবহনের সহকারি শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) আদালতে উপস্থিত করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাক্ষ্য গ্রহণের চতুর্থ দিনে তিনজন স্বাক্ষ্য দেন আদালতে। এরা হলো- নিহত রুপার ভাই হাফিজুর রহমান, আব্দুল বারেক, মমতাজ উদ্দিন। পরে আদালত মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ দেন আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি)। এর আগে গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) তৃতীয় দিনে চারজন স্বাক্ষ্য দেন আদালতে। এরা হলো- এম এ রৌফ, হাসমত আলী, লাল মিয়া, ইমাম হোসেন। গত রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনে চারজন স্বাক্ষ্য দেয় আদালতে। এরা হলো- রশীদ মিয়া, প্রবীর এম কুমার, আবুল হোসেন ও রহিজ উদ্দিন। গত বুধবার (৩ জানুয়ারি) মামলার বাদী মধুপুর অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষ্য গ্রহণ নেয়া হয়। এ নিয়ে মোট ১২জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। চার্জশীটে ৩২জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। উল্লেখ, গত (২৫ আগস্ট) বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষন করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
×