ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাসী হামলায় আহত কাউন্সিলর প্রার্থী, গ্রেফতার ৭

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

সন্ত্রাসী হামলায় আহত কাউন্সিলর প্রার্থী, গ্রেফতার ৭

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদের ওপর বৃহস্পতিবার রাতে খটখটিয়া এলাকায় হামলা চালিয়েছে একদল মোটরসাইকেল আরোহী সন্ত্রাসী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। মাসুদের নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল কাইয়ুম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে খটখটিয়ার নিজ বাড়ির পাশে আরণ্যক নার্সারিতে ভোটারদের সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ করে কয়েকজন সন্ত্রাসী ৩-৪ টি মোটর সাইকেলযোগে এসে কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা এলোপাথারীভাবে তার মাথায় কোপায়। উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মাসুদ জানান, সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোখলেসুর রহমান তরু ও তার লোকজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। মাসুদের ভাই ফিরোজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি আসন্ন নির্বাচনে পরাজয়ের আশংকায় প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী মোখলেসুর রহমান তরুর নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী মাসুদকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বার বার হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলের তরু। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাতটি ডায়েরি করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা এ বিষয়ে মোখলেছুর রহমান তরুসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের নামে কোতয়ালী থানায় মামলা করেছি। এছাড়াও বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি’। এদিকে, রাতেই গুরুতর আহত মাসুদকে দেখতে হাসপাতালে যান জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রংপুর জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক কুমারেশ রায়, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, এ ঘটনায় মাসুদের ভাই ফিরোজ মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। রিটানিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সাথে সাথেই আমরা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
×