ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরার পাকা ইঁদরা ভরাট করে দোকান বসানো হয়েছে

প্রকাশিত: ০১:৩৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

মাগুরার পাকা ইঁদরা  ভরাট করে দোকান বসানো হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকারদের নির্মম অত্যাচার ও গনহত্যার নীরবসাক্ষী মাগুরার শালিখার আড়পাড়া ডাকবাংলোর সামনে অবস্থিত পাকা ইঁদরার খবর কেউ রাখেনা। ইদারাটি মাটি দিয়ে ভরাট করে তা উপর প্রতি হাটের দিন দোকান বসে । জানা গেছে , ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থানী সেনারা মাগুরার শালিখার আড়পাড়া ডাক বাংলোয় ক্যাম্প করেছিল। ডাক বাংলোটি ফটকি নদীর তীরে অবস্থিত। পাকবাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকাররা নদী পথে যে সমস্থ মানুষ যেত তাদের ধরে এনে নির্মম অত্যাচারের পর হত্যা করে ফটকি নদীতে ফেলে আবার অনেককে হত্যা এই ইদরায় ফেলে দিত। শত মত মানুষ হত্যার নিরব সাক্ষী এই ইঁদরা। বর্তমানে ইদরাটি ভরাট। তার উপর প্রতি সপ্তাহে হাটের দিনে বুধবার ও শনিবার দোকান বসে। বোঝার উপায় এই সেই ইদরা। পাকবাহিনী ও রাজাকারদের মানুষ হত্যার নিরব সাক্ষী। এদিকে মাগুরা শহরের আনসার ক্যাম্প , সরকারী কলেজ , পিটিআই, এবং রাজাকার ,শান্তি কমিটি শহরের রেনুকা ভবন , গোল্ডেন ফার্মেসী, দত্ত বিল্ডিং এ তাদের ক্যাম্প করে। পাকিস্থানী বাহিনী তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর বাহিনী বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারন মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে এই সমস্থ স্থানে আটক রেখে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। ঢাকা রোড ব্রীজ , ক্যানলে ও পিটিআই এর মধ্যে শতশত মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিত এবং পিটিআই এর মধ্যে কবর দিত। কোন স্থানে স্মৃতি ফল ফলক নেই । শুধুমাত্র পিটিআইয়ের সামনে ৭/৮ ডিসেম্বর যুদ্ধ ক্ষেত্র এই ফলক রয়েছে। যারা জানেন না তাদের পক্ষে বোঝার উপায় এইখানে টর্চার সেল ও বদ্ধভুমি ছিল। বর্তমান প্রজ¥মের অনেকেই জানেন না এই সব ঘঁটনা । মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে এই বধ্যভুমিগুলিকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে অভিঞ্জমহল মনে করেন।
×