ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে এমপি কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় ঢাকায় গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ০০:০১, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭

হবিগঞ্জে এমপি কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় ঢাকায় গ্রেফতার ২

নিজস্ব সংবাদদাতা,হবিগঞ্জ ॥ হবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়াসহ এক নারী ইউপি সদস্যের ওপর বাহুবলের মিরপুর বাজারে হামলা ও অসৌজন্যমূলক আচরন করার দায়ে অভিযুক্ত এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী ও বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী সদ্য ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা তারা মিয়া ও জেলা পরিষদ সদস্য আলাউর রহমান সাহেদকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাত প্রায় পৌনে ১১ টার দিকে ঢাকার কদমতলী থেকে এই দুজনকে আটক করে পুলিশ। অত্যন্ত কড়া পুলিশী প্রহরায় ভোর রাতে তাদেরকে সড়ক পথে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংশ্লিস্ট শাখায় নিয়ে আসা হয়। এদিকে সংশ্লিস্ট মামলায় পলাতক থাকা ওই দু’জনকে গ্রেফতারের পর বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসপি বিধান ত্রিপুরা এক জরুরী প্রেস ব্রিফ্রিংয়ের আয়োজন করে। এই প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেফতারকৃত তারা ও সাদেককে সাংবাদিকদেও সম্মুখে আনা না হলেও এসপি বিধান ত্রিপুরা প্রশ্নোত্তরে বলেন, এখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা সম্ভব নয়, আইন মেনে দিনের যে কোন সময় তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে। তবে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদেরকে দেয়া হয়। এতে এমপি কেয়া চৌধুরীর সাথে অভিযুক্তরা অসৌজন্যমূলক আচরন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এমপির ওপর হামলা ও ঠেলা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এসপি বিধান ত্রিপুরার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান, প্রকৃত তদন্তের ভিত্তিতেই রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হবে। রিমান্ড প্রার্থনা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত এই ঘটনায় এজাহারভূক্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করলো পুলিশ । এদিকে এই পলাতক ২ জনকে আটক করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এমপি কেয়ার সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, বিগত ১০ নবেম্বর জেলার বাহুবল উপজেলাধীন মিরপুর বাজার এলাকাস্থ বেঁদে পল্লীতে চেক বিতরনকালে এমপি কেয়া চৌধুরী ও নারী ইউপি সদস্য পারভীন বেগম সহ তার সমর্থকদের ওপর যুবলীগ নেতা ও সদস্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে বাধা সৃষ্টি, মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া সহ হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে। এতে এমপি কেয়া ও ওই নারী সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে ১৮ নবেম্বর নারী সদস্য পারভীন বেগম বাদী হয়ে উপরোক্ত ব্যক্তিদের আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
×