ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শেফালী হাজং জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট জয়িতা নির্বাচিত

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭

শেফালী হাজং জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট জয়িতা নির্বাচিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) ॥ পারিবারিক নির্যাতনের বিভীষিকা মোকাবেলা করে, আজ স্বাবলম্বী, জীবন যুদ্ধে জয়ী এক আদিবাসী নারী শেফালী হাজং। শেফালী হাজং একজন নির্যাতিতা আদিবাসী নারী। একজন সন্তান নিয়ে তার সংসার। উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রামের শিবনাথ হাজং এর কণ্যা শেফালী হাজং। পিতা একজন দরিদ্র কৃষক ছয় বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে সেই দ্বিতীয়। এস,এস,সি পাস করার পর সে দারিদ্রতার কারণে পনের বছর বয়সে বেসরকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক হস্তশিল্প নকশী কাঁথা প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন শেষে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরীরর পাশাপাশি নিজ বাসায় মহিলাদের নিয়ে হস্তশিল্পের ছোট কারখানা গড়ে তুলেন। নিজস্ব কারখানার পন্যের মুনাফা দিয়ে সকল ভাই বোনদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যান। পরবর্তীতে ওয়ার্ল্ড ভিশনে চাকুরীরত অবস্থায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পরেই স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ীর লোকজনের ইচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। বিবাহিত জীবন এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর পরিবারের সকল সদস্য কর্তৃক চরম নির্যাতনের স্বীকার হন। একজন আদিবাসী নারী হয়ে বাঙ্গালী হিন্দু বিয়ে করায় উভয় সমাজের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ফল হচ্ছে এই নির্যাতন। বৃহত্তর সমাজ ও আইনী কাঠামোতে অনেক দেন দরবার করেও তার প্রতিকার মিলেনি। সদ্যজাত শিশুকে নিয়ে পৌর শহরের আমলাপাড়ায় একটি বাসায় ভাড়া থেকে নতুন উদ্যেমে ক্ষুদ্র ও হস্তশিল্প কারখানা গড়ে তুলেন। এবং অনেক মহিলারা এখান থেকে কাজ শেখে আজকে তারাও স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টায় আছেন। তিনি এ পেশায় নিজ উদ্যেমে দক্ষ প্রশিক্ষকের ভূমিকাও পালন করেন এবং স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন। আদিবাসী নারীটি এই সমাজের উদাহরন। তিনি মহিলা বিষয়ক কার্যালয় তথা সরকাররের দৃষ্টিতে পড়ায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন, বলে জনকন্ঠ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার।
×