ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁর এনজিও ভার্কের ৩ শাখা ব্যবস্থাপক উধাও!

প্রকাশিত: ০২:১১, ৯ নভেম্বর ২০১৭

নওগাঁর এনজিও ভার্কের ৩ শাখা ব্যবস্থাপক উধাও!

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর মান্দায় বেসরকারি সংস্থা ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক) এর ৩ শাখা ব্যবস্থাপক একযোগে উধাও হয়েছে বলে জানা গেছে। এরা হলেন, মান্দা উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক শারমিন আক্তার, সতিহাট শাখার নীলরতন বর্মন ও নিয়ামতপুর শাখার কামাল হোসেন। বুধবার রাতে একযোগে কর্মস্থল থেকে উধাও হয়েছেন তারা। ঘটনায় পাঁজরভাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপক শারমিন আক্তারের ভাই সতিহাট শাখার মাঠ কর্মি রাকিব হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শারমিন আক্তারের ব্যবহৃত ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে। ভার্ক মান্দার এরিয়া ম্যানেজার গোলাম মাওলা দাবি করেন, সংস্থার অন্তত কোটি টাকা, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন তারা। পাঁজরভাঙ্গা বাজারের নৈশপ্রহরি তাছের আলী জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ভার্কের ম্যানেজার শারমিন আক্তার ও তার স্বামী সাঈদ হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে ভাড়া বাসা থেকে বের হওয়ার পর চৌরাস্তার মোড়ে তাদের আটক করে ওই এনজিওর লোকজন। এনিয়ে হৈচৈ শুরু হলে শারমিনের বাসা মালিক রেজাউল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বাসা মালিক রেজাউল ইসলাম জানান, হৈচৈ শুনে চৌরাস্তার মোড়ে পৌঁছে দেখেন ম্যানেজার শারমিন আক্তারকে টানাহেঁচড়া করছেন সংস্থার কয়েকব্যক্তি। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি তিনি হেফাজতে নেন। তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব অফিসে বসে মিটিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বাসায় চলে যান। এরপর থেকে ম্যানেজার শারমিন আক্তারকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। ভার্ক মান্দার এরিয়া ম্যানেজার গোলাম মাওলা জানান, সংস্থার ক্ষতিসাধনের লক্ষে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাখা ব্যবস্থাপকগণ একসঙ্গে উধাও হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সংস্থার ৩ শাখা থেকে অন্তত কোটি টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি । থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, সংস্থার পক্ষে অভিযোগ পাবার পর শাখা ব্যবস্থাপক শারমিন আক্তারের ভাই সতিহাট শাখার মাঠকর্মি রাকিব হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
×