নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী॥ ফেনীতে বিএনপির চেয়ারপার্শন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরের গনমাধ্যমকর্মীদের গাড়ীতে হামলা মামলায় ৮ দিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেপতার হয়নি। এ মামলায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে গনমাধ্যম কর্মী সহ সাধারন মানুষের মুখে পুলিশ প্রশ্নবিব্ধ হয়ে উঠেছে।র্স্বর্থেনেষী মহল এ মামলা নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশ উদ্ধারের হাতিয়া হিসাবে ব্যবহর করবে বলে সচেতন মহল আশংকা করছে। যা পুলিশের গ্রেফতার বানিজ্যকে উৎসাহিত করবে বলে অভিযোগ উঠেছে।।
বিএনপির চেয়াপার্শন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীর ফতেপুরে গাড়ী বহরের পেছনে থাকা সংবাদ মাধ্যমের গাড়ীতে হামলা , গাড়ী ভাংচুর ও সাংবাদিকদের মারধর করে সন্ত্রাসীরা ॥ ঘটনার সময় ঐ এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশের পক্ষ থেকে ফেনী কোর্ট ইনেসপেক্টর এ কে এম নজিবুল ্ ইসলাম ঘটনার ৪ দিন পর বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারে ৩৫/৩০ জন অঞ্জাত নামা আসামী উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনার ৮ দিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সাংবাদিকদের গাড়ীতে কারা হামলা করেছে তা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদে প্রচার করেছে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছবি সহ সংবাদ ছাপ হয়েছে। স্থানিয়দের সাথে ঢাকার মিডিয়া হাউজ গুলি ফুটেজ ও স্থির ছবির ব্যক্তিদের পরিচয় সনাক্ত করে তাদের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।অথচ পুলিশের দায়ের করা মামলার এজাহারে বিএনপি সাবেক ২ সংসদসদস্য জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল ও রেহানা আক্তার রানুর দন্দের কারনে এঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সাংসদ ভিপি জয়নাল মামলার এজাহর দেখিয়ে বলেন পুলিশ হামলাকারীদের বাচাতে ও তাদের গ্রেফতার না করতে উদ্যেশ্যমুলক ভাবে ২ সাংসদের বিরোধ নিয়ে গল্প লেখেছে। তাদের মধ্যে কোন বিরোধ বা কোন্দল নেই। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে দোষ খুজে বেড়াচ্ছে বিএনপির ২ সাবেক সাংদের। এঘটনায় ফেনী পুলিশের ভুমিকা নিয়ে এবং কোন আসামী আটক না হওয়ায় ঢাকা, সহ সার দেশের গনমাধ্যমকর্মীরা ক্ষুব্দ । অনেকের প্রশ্ন বিএনপির ২ সাংসদের বিরোধের কারনে ঘটনা ঘটলে মামলায় অঞ্জাতনামা আসামী কেন?
অপর দিকে বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজার থেকে ঢাকা ফেরার পথে ফেনীর মহিপালে তার গাড়ী বহরের পেছনে পেট্রোল বোম হামলা ও ২ টি বাস জ্বলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরদিন ফেনী মডেল থানার সাব ইনেসপেক্টর নুর উদ্দিন বাদী হয়ে ২৯ জন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ করে ২৫/৩০ জন অঞ্জাতনাম আসামী দিয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলা এথম দিন ৬ জন , পরের দির ২৪ জন কে আটক করেেলও আদালতে পাঠানো হয় ১৩ জন। দুই দিনের (৬+১৩) ১৯ জনকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত সকলকে জেলহাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন। এ মামলয় ২২ জন কে গ্রেফতার করে পুলিশ । এদের মধ্য থেকে সদর থানা ফজিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নুরে সালাম মিলন ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: জাকির হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকাােক্তি মুলক জবান বন্ধী প্রদান করে। এ মামলায় ফেনী করাগারে থাকা ১৮ জনের ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদনের জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার রিমান্ডে আবেদনের ওপর শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে।
