ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি করায় দ্রুত বিচার আদালতে মামলা

প্রকাশিত: ২২:০০, ৩ নভেম্বর ২০১৭

জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি করায় দ্রুত বিচার আদালতে মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা ॥ মৎস্যজীবীদের কাছে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় পাবনা দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছে গরীব সমবায়ী মৎস্যজীবীরা। জলাশয় লীজ নেয়ার পরেও মাছ ধরতে গেলে সন্ত্রাসীদের ৬ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় মৎসজীবিদের মাছ ধরতে বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় এ মামলা হয়েছে। জানা গেছে, সাঁথিয়া উপজেলার টি এস কেস নং-১৩১ (পাব) জলাভূক্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ডি-২ নিষ্কাশন খাল জলমহালটি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মৎস্য বিভাগের উপর ন্যাস্ত হয়। মৎস্য অধিদপ্তর সাতানির চর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে বাংলা ১৪২৩-১৪২৭ পর্যন্ত উক্ত জলাশয় লীজ প্রদান করে। সাতানির চর মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যগণ মাছ শিকার করতে গেলে উক্ত এলাকার একদল দাঙ্গাবাজ প্রভাবশালী ব্যক্তি মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো: আলী হোসেনকে ভীতি প্রদর্শণ করে এবং মাছ ধরতে নিষেধ করে। তারা আলী হোসেনের কাছে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি দরীদ্র মৎস্যজীবরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানালে তারা কোন সহযোগীতা পায়নি, উপরন্তু তাদের আরও নিরাশ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে করে মাছ শিকার করতে। চাঁদা প্রদান করতে অপারগতা প্রকাশ করায় আসামীরা গরীব জেলেদের জাল পুড়িয়ে দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র এবং দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দেখিয়ে ভয় প্রদর্শন করে এবং স্থান ত্যাগ করার সময় ৬ রাউ- ফাঁকা গুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার পাবনা দ্রুত বিচার আদালতে বাদী হয়ে সাতানির চর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো: আলী েেহাসেন ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। সাঁথিয়া উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মো: আতিকুর রহমান জিয়া, আরাজী গোপীনাথপুর গ্রামের রতন, আব্দুল লতিফ, আব্দুল হামিদ, আলিম ফকির, মো: ফজু, মুনা ম-ল, রায়হান, মাহাবুবুর রহমান, রিপন, দবির, আলহাজ্ব, সাত্তার ও গোপীনাথপুর গ্রামের বাবুলকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে আদালত দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারা মোতাবেক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
×