নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ গৃহবধু খাদিজা, লাইলি ও আমেনা বেগমের চুলোয় দুই দিনে হাড়ি ওঠেনি। হয়নি রান্না। চাল-ডাল, বাজার-সওদা সব রয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চুলো পর্যন্ত ডুবে আছে। তিন দিনেও পানি নামছে না। কুয়াকাটা পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের এ তিন গৃহবধুর বসবাস। কেউ আলগা চুলোয়।
কেউবা পড়শির বাড়িতে রান্না করে দিন পার করছেন। একই দুর্ভোগের দৃশ্য অন্তত অর্ধশত পরিবারে। শেখবাড়ি থেকে শুরু করে মসজিদ পর্যন্ত একই দৃশ্য। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমনদশার কথা জানালেন অনেক বাসিন্দা। আবার কেউ বললেন পানি অপসারনের নির্দিষ্ট খাল দখল করে বাড়িঘরসহ স্থাপনা তোলায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন।
পৌর কাউন্সিলর এ মো. শাহআলম জলাবদ্ধার ভোগান্তির কথা স্বীকার করে জানান, তিনি পানি অপসারনের জন্য পাইপ বসিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচলের কাজ করছেন। তবে পানি নামার মূল খালে অসংখ্য সুক্ষ্ম জাল (আটন জাল) থাকায় খালে পানির প্রবাহ থাকছেনা। স্রোত বইছে না। একই দশায় সাত নম্বর ওয়ার্ডের কেরানীপাড়া রাখাইন পল্লীর বাসিন্দাদের। পানিতে বন্দী হয়ে আছেন তাঁরা।
রাখাইন মার্কেটের সামনে এখন প্রায় এক হাত পানি জমে আছে। দোকানিদের বেচাকেনা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। মার্কেট থেকে পুবদিকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে প্রায় দেড় শ’ পরিবার। আবাসিক হোটেল মালিকরা পর্যন্ত বিপাকে পড়েছেন। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা জানান, পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুর্ভোগ কেটে যাবে।