ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেতু থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০০:২৩, ২৮ জুন ২০১৭

সেতু থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক ॥ পারিবারিক কলহের জের ধরে রমজান আলী (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে খুলনার খানজাহান আলী (র.) সেতু থেকে স্ত্রী-সন্তানকে রূপসা নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও কোস্টগার্ডের দুটি ডুবুরি দল তাদের সন্ধান পায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খানজাহান আলী সেতুতে (রূপসা ব্রিজ) বেড়াতে গিয়ে স্ত্রী তৈয়েবা খাতুন (২৫) ও চৌদ্দ মাসের শিশু সন্তান আব্দুর রহিমকে রমজান আলী ফেলে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। তারা নগরীর খালিশপুরস্থ বঙ্গবাসী স্কুল সংলগ্ন সিরাজ মোল্লার স্ত্রী মোমেনা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া। ঘটনার পর রমজান আলীকে স্থানীয় জনতা পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় তার শাশুড়ি বাদী হয়ে বুধবার রূপসা থানায় হত্যা এবং হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। রমজান আলী শেখ ফার্নিচারের দোকানের একজন কর্মচারী। রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রমজান আলী তার স্ত্রী-সন্তানকে নদীতে ফেলে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি। তার দাবি, সন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রী নিজেই নদীতে লাফিয়ে পড়েছে। তাকে নেশাগ্রস্ত এবং মানসিক বিকারগ্রস্ত মনে হচ্ছে। তবে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রকৃত রহস্য বের হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঈদের পরদিন মঙ্গলবার সকালে বরিশালে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রমজান আলী শেখ তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে নগরীর খালিশপুরের বাসা থেকে বের হয়। সারাদিন তারা নগরী ও আশপাশের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে সময় কাটিয়ে বিকালে খানজাহান আলী সেতুতে যায়। রাত পৌনে ৯টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রমজান স্ত্রীর কাছে থাকা শিশু আব্দুর রহীমকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে রূপসা নদীতে ফেলে দেয় । এ সময় সন্তানকে উদ্ধারের জন্য স্ত্রী তার হাতে-পায়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকলে রমজান তাকেও নদীতে ফেলে দেন। কোস্টগার্ড রূপসা সেতু স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. মর্তুজা আলী বলেন, ঘটনার পর থেকেই তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বুধবার মংলা থেকে আরও একটি টিম যোগ দিয়েছে।
×