অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চালের মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক কৃত্রিম সঙ্কট বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন বাজেট পাস করা হবে না। প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পাস করার পর সবাই খুশি হবে।
রবিবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে থ্রি-ডি সেমিনার হলে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত বাজেটেত্তোর সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশেল মানুষের কল্যাণে সরকার সবকিছু করবে। ভ্যাট ও ট্যাক্স নিয়ে জাতীয় সংসদে এবং বাইরে আলোচনা হচ্ছে। বাজেট পাস হবার পর আর কোন আলোচনা থাকবে না। ভ্যাট এবং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে বাস্তব সম্মত হবে। জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় সংসদনেতা প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় তা স্পষ্ট হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চাউলের মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক সঙ্কট। বাজারে চাউলের অভাব নেই। দেশে পর্যাপ্ত চাউল রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাউল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরো ৬ লাখ মেট্রিক টন চাউল আমদানির টেন্ডার আহবান করা হচ্ছে। চাউল আমদানির উপর ১০ ভাগ হারে আমদানি শুল্ক ছিল, দেশের কৃষকদের সুরক্ষার জন্য আরো ১৫ ভাগ শুল্প আরোপ করা হয়েছে, যাতে দেশের কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পান।
তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই চাল সমস্যার সমাধান হবে। একসময় দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, আজ দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব নেই। আমরা চাউল রফতানি করতে শুরু করেছি। দেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমান দিন দিন কমছে কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে। এ উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব। ভবিষ্যতেও দেশে কোন খাদ্য সঙ্কট হবে না।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) প্রফেসর ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরে-বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট এন্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কাজল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্যারিষ্টার জাহাঙ্গীর, ড. মিহির কুমার রায় এবং ড. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
