ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

স্বস্তিদায়ক ভ্যাট হার নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী একটি গাইড লাইন দিয়েছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ১৫ মে ২০১৭

স্বস্তিদায়ক ভ্যাট হার নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী একটি গাইড লাইন দিয়েছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্বস্তিদায়ক ভ্যাট হার নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি গাইড লাইন দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তবে এই হার কতভাগ তা স্পস্ট করেন নি বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভ্যাট হার নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ী মহল খুশি হবেন বলে আশা করছি। এতে ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বড় কোন ব্যবসায়ীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকরা ভ্যাট হার নির্ধারণ ও আইন সংশোধন বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ভ্যাট হার নির্ধারণ এবং আইনটি সংশোধনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গত ১৪ মে রাতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও অংশগ্রহণ করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সর্তকতা, গুরুত্ব ও সবদিক বিবেচনা করেই ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে। আমরা (সরকার) মনে করছি এতে সন্তুষ্ট হবে ব্যবসায়ীরা। কারণ ভ্যাটের আওতায় কিছু নতুন যোগ হবে। এতে ব্যবসায়ীদের অসন্তুষ্ট হওয়ার কোন কারণ নেই। তিনি বলেন, ট্যাক্স দেয়ার সংখ্যা ২৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আগে এটি ছিল ২০ লাখ। রাজস্ব আদায় অনেক বেড়েছে। উন্নয়ন মুলক বাজেট ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভ্যাট, কাস্টমস ও ইনকামটেক্স এই তিনটি বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। এটি আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছর বাজেটের মধ্যে আসবে এবং প্রতিফলিত হবে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট হার থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী এ ক্ষেত্রে কি নির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সাল থেকেই ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেয়া হচ্ছে। অনেক খাত ছিল ভ্যাট আওতামুক্ত। যেহেতু একটি ভ্যাট আইন করা হচ্ছে, ফলে যা করাই হবে সহনীয় থাকবে। ভ্যাট হার নিয়ে স্বস্তিদায়ক বলেছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যই সঠিক। প্রধানমন্ত্রী সেভাবেই করার নির্দেশ দিয়েছেন। ভ্যাট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চুড়ান্ত করা হয়েছে। এখানে প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দেয়ার কিছু নেই। এরপর ভ্যাট নিয়ে টুকটাক কিছু করার দরকার হলে এনবিআরের সঙ্গে বসে অর্থমন্ত্রী ঠিক করবেন।
×