ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনা

প্রকাশিত: ০২:০১, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

কেশবপুর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুরকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে কেশবপুরের সাংসদ ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ভিক্ষুক পুর্নাবাসন কার্যাক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষনা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভিক্ষুক পুর্বাসন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক ডঃ মোঃ হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, সহকারি পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের ,সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোঃ কবীর হোসেন, ওসি সহিদুল ইসলাম ,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, ,সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম, সুফলাকাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দুস সামাদ, জেলা পরিষদ সদস্য হাসান সাদেক ও সোহরাব হোসেন। প্রধান অতিথি ভিক্ষুকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার সকল মানুষের মানসন্মত জীবণ ধারনে সার্বত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আপনারা আর ভিক্ষা করবেন না। ভিক্ষা করলে কেউ সন্মান করে না। সরকার আপনাদের পাশে আছে। আপনাদের পুর্নবাসনের জন্য সবই করা হবে। যে যে কাজ করতে ইচ্ছুক তাকে সেই কাজের উপকরন দিয়ে স্বালম্বী করা হবে। এ সময় উপস্থিত ভিক্ষুকরা হাত উচিয়ে আর ভিক্ষা করবেন না বলে শপথ করেন। ভিক্ষুক পুণর্বাসনে ৮২ জনকে ভিক্ষুককে ১০টি করে মুরগী ও মুরগি রাখার খুপি, ১০ জনকে কাঁচা তরকারি বিক্রির সরঞ্জাম, ৬ জনকে ১টি করে ছাগল, ২ জনকে মুদি দোকানের সরঞ্জাম ও ৫ জনকে অন্যান্য মালামাল দেয়া হয়। মোট ২৪০ জন ভিক্ষুক পরিবারে পুণর্বাসনের জন্য তাদের ভিজিডি কার্ডের আওতায় আনা হয়েছে। এখন থেকে তারা প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ সকল সহযোগিতা করা হবে। কোন অসুবিধা হলে সাথে সাথে ইউনিয়নের মেম্বর, চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাবেন। আর কেউ ভিক্ষা করবেন না। এখন থেকে যারা ভিক্ষা দেবেন এবং যারা ভিক্ষা গ্রহন করবেন তাদের উভয়কে সাজা পেতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবির সাংবাদিকদের জানান, ভিক্ষুকদের পুণর্বাসনে ৭ লাখ ১ হাজার ৩শ’৭৬ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
×